নতুন সংস্করণে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম। নতুন রূপে স্টেডিয়ামে নতুন বাংলাদেশের দেখা। অনেক দিন পর দেশ ফুটবল উন্মাদনায় মেতেছিল। দেশবাসীর প্রত্যাশা-জয় দিয়ে নতুন জাগরণ স্মরণীয় করে রাখবেন ফুটবলাররা। সবই হলো, শুধু হলো না জয়। হামজা দেওয়ান চৌধুরী, সামিত সোম, ফাহামিদুল ইসলাম নিয়ে গড়া বাংলাদেশ পারল না। এশিয়া কাপ বাছাই পর্বে ‘সি’ গ্রুপে দ্বিতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুরের কাছে হেরে গেল ১-২ গোলে। যেখানে ভাবনায় ছিল শুধুই জয়, সেখানে হার। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ ফুটবলপ্রেমীরা।
প্রশ্ন হচ্ছে-এ হার কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে কতটা ব্যথিত করেছে? ১৯৭৩ থেকে জাতীয় দলে অনেক দেশি ও বিদেশি কোচ দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে চোখ বন্ধ করে স্প্যানিশ কাবরেরাকেই ভাগ্যবান বলা যায়। বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার আগে তাঁর কোনো কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা ছিল না। এ নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, যাঁর কোনো ক্লাবেরই কোচ হওয়ার অভিজ্ঞতা নেই তাঁকে সরাসরি জাতীয় দলের দায়িত্ব দেওয়া হলো কোন যুক্তিতে?
কাবরেরা তাঁর স্বল্প ক্যারিয়ারে যা পেয়েছেন তা অন্যদের কাছে ঈর্ষণীয় হতে পারে। তা কিন্তু ভালো করার জন্য নয়। হামজা, সামিত, ফাহামিদুলদের গুরু হতে পেরেছেন এটাই তো বড় সার্টিফিকেট। বাংলাদেশ তাঁকে উচ্চতায় তুলছে। তাঁর কি কোনো দায়িত্ববোধ ও সহানুভূতি রয়েছে? মঙ্গলবার রাতে ম্যাচ হারল আর বুধবার সকালে ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে যাবেন তা পেশাদার কোচের ক্ষেত্রে মানায়? তিনি পরের দিন শিষ্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। কার কোথায় ভুল ছিল বা কেন হারলাম পর্যালোচনা করতে পারতেন।। এগুলো কি তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না? বাফুফেই বা তাঁকে ছুটি দেয় কীভাবে? বেতন তো কম দেওয়া হয় না। তাঁর সঙ্গে তো বসা উচিত ছিল ম্যাচের চিত্র নিয়ে। অবশ্য এ কালচার কাবরেরার নতুন নয়। যখনই খেলা শেষ হয় বা গ্যাপ থাকে তখনই ছুটি নিয়ে দেশে চলে যান তিনি।