একটা আস্ত সিংহের মতো তোলপাড় করা ভালোবাসা
লাফ দিয়ে ঢুকে পড়ল আমার ভেতর, দুলে উঠল সব।
অথচ তখনও আমি ঠোঁটের শক্তিমত্তা পরীক্ষা করে দেখিনি,
জানতাম না বাহুর পেশীশক্তি দিয়ে একটা বটবৃক্ষের শেকড়
উপরে ফেলা সম্ভব, শিখিনি দরোজা খোলার আজব মন্ত্র।
ভালোবাসার রেণুগুলো চিতাবাঘ হয়ে আমার রক্তের
শিরা-উপশিরায় যখন ছুটতে থাকল অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রত্যয়,
আমি তখনও নিরাসক্ত আঙুলে স্পর্শ করে দেখিনি নদী
ফুঁড়ে জেগে ওঠা চরের গোপন উত্থানপর্ব, তার শিল্পকলা।
আমার চোখের ভেতর কীভাবে একটা হলুদ পূর্ণিমা চাঁদ
জ্যোৎস্নার ট্রাক নিয়ে ঢুকে গেল আমি জানতেই পারলাম না,
আমার দুই হাতের মুঠোয় কেউ একজন তুলে দিল আগুন,
কেউ একজন পায়ের নিচে লাগিয়ে দিল সম্মোহনের চাকা।
হিমালয় টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে গেল, বরফ হলো জল,
তীব্র স্রোতের টান আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল অথৈ সমুদ্রে,
চারপাশের বিশুদ্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ল ফেরোমনের সৌরভ।