মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে বছরের সবচেয়ে বড় নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব। গত শনিবার (৩০ আগস্ট) কুয়ালালামপুরের জি-টাওয়ার হলরুমে এ জমকালো আয়োজন করে বাংলাদেশি স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন মালয়েশিয়া (বিএসওএম)।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসওএম সভাপতি আসাদুল্লাহ আল গালীব রাব্বি এবং অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট আসিফ রহমান। প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় ছিলেন আদিবা আহমেদ ও সাবরিনা সূচনা।
নবীনবরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাইনারি ইউনিভার্সিটির ডিন প্রফেসর আসিফ মাহবুব করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসওএম-এর উপদেষ্টা ডা. মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, যিনি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব ও সাংস্কৃতিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সংগঠনটির ভূমিকার প্রশংসা করেন। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন প্রফেসর ডা. জাহাঙ্গীর আলম, সিআইপি রুহুল আমিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন, ডা. মোহাম্মদ আবদুল মাবুদ, সাবেক সভাপতি মো. আল আমিন সরকার ও আহমেদ রেজা।
অনুষ্ঠান সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন আবদুর রহমান শাফি, তোপাজ্জল হোসাইন, মেহেদী হাসান, সালমা আক্তার, শহিদুল ইসলাম পিন্টু, আইসা সিদ্দিকা, ফরিহা মেহেজাবিনসহ আরও অনেকে।
প্রায় ৪০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য থেকে আগত বাংলাদেশি এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ছিল প্রায় চার শতাধিক, যার মধ্যে শিক্ষক, প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি, স্টুডেন্ট কাউন্সিল প্রতিনিধি এবং বিদেশি অতিথিরাও ছিলেন।
সাংস্কৃতিক পর্বে গান, কবিতা, নাচ, ম্যাজিক শোসহ নানান পরিবেশনা মুগ্ধ করে দর্শকদের। আয়োজনে ছিল দেশীয় খাবারের স্টল, যা প্রবাসে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য এক ভিন্ন আবেগের জায়গা তৈরি করে।
অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল প্লাটিনাম স্পন্সর হাইপারকানেক্ট এসডিএন বিএইচডি, গোল্ড স্পন্সর মৈত্রী এসডিএন বিএইচডি, সিলভার স্পন্সর সামিহা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, রেস্টুরেন্ট চেয়ারম্যান (৭), এমসিপি এসডিএন বিএইচডি ও ডব্লিউডব্লিউ গ্লোবাল মালয়েশিয়া। ফুড পার্টনার ছিল স্টার কাবাব এবং ডিজিটাল পার্টনার ডিজিটালিও ও সাওন ক্লিক।
সংগঠনের সভাপতি আসাদুল্লাহ আল গালীব রাব্বি বলেন, “বিএসওএম শুধুমাত্র একটি সংগঠন নয়, এটি প্রবাসে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পরিবার। আমরা চাই, প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন অনুভব করে বিএসওএম সবসময় তাদের পাশে আছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই আয়োজন কেবল বিনোদনের জন্য নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং ও পারস্পরিক সম্পর্ক গঠনের একটি বড় প্ল্যাটফর্ম।”
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বিএসওএম প্রবাসে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐক্যের প্রসারে শুরু থেকেই কার্যকর ভূমিকা পালন করে আসছে। সংগঠনটি ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা