রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জামায়াত ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকালে ইউনিয়ন পরিষদের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাউসা ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে মানববন্ধন চলছিল। ওই কর্মসূচিতে বাধা দিতে যান স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করে। স্থানীয়রা জানান, বাঘা উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইউনুস আলী ও বাউসা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের টিসিবি, ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ড, তথ্যসেবা কেন্দ্রের চাঁদাবাজি এবং ঈদ সামনে রেখে হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেন।
দুপুর ১২টার দিকে মানববন্ধন শুরু হয়। এ সময় বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনসহ তাদের লোকজন এসে ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের পক্ষ নিয়ে মানববন্ধনে বাধা দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘একজন ইউপি সদস্য (প্যানেল চেয়ারম্যান-১) আবদুর রহমান দুই মাস আগে ক্ষমতা পেয়েছেন। তিনি এই সামান্য সময়ের মধ্যে কী অনিয়ম করলেন, সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। তাদের মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেওয়া ঠিক হয়নি। আমরা তাদের ব্যানারটি কেড়ে নিয়ে মানববন্ধন না করার জন্য অনুরোধ করেছি। এখানে কোনো সংঘাত হয়নি।’
আবদুর রহমান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। প্রশাসন এসে যদি কোনো অনিয়ম পায় তাহলে আমি আমার পদ থেকে সরে দাঁড়াব। এটা মূলত এক ধরনের ষড়যন্ত্র।’
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি গোলাম মর্তুজা জানান, ভিজিএফ, ভিজিডি ও টিসিবি নিয়ে অনিয়মের প্রতিবাদে জামায়াতের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলছিল। সেখানে বিএনপির লোকজন হামলা চালিয়েছে।