ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের দিন রাজধানীর চানখারপুলে গুলি করে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
সাক্ষীর নিরাপত্তায় কর্মরত প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও পুলিশকে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সাক্ষীর বিপক্ষে কোনো ব্যানার-পোস্টার থাকলে তা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। সেইসঙ্গে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করে দেয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার (১৩ আগস্ট) চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন চানখারপুলে পুলিশের গুলিতে শহীদ মো. ইয়াকুবের মা, চাচা ও শহিদ ইসমামুল হকের বড় ভাই মো. মহিবুল হক।
এই তিন সাক্ষী শেখ হাসিনাসহ এ মামলার অপর আসামিদের বিচার চেয়েছেন। অন্যদিকে মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী বুধবার (২০ আগস্ট) দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
ছয়জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ১৪ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন। সেই সঙ্গে এই মামলার সূচনা বক্তব্যের ও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়।
আসামিরা হলেন- সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। এই আসামির মধ্যে প্রথম চারজন পলাতক। অন্য চারজন গ্রেফতারের পর কারাগারে রয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন