সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঘানটুটের সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে গাড়ি নিয়ে বেকায়দায় পড়া এক ভারতীয় পরিবারের পাশে দাঁড়ালো দুবাই ভিত্তিক একটি রেসকিউ টিম। জানা যায়, ঘানটুটে পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়ে ওই ভারতীয় পরিবার সেখানে সমুদ্র পাড়েই রাতে তাবুতে অবস্থান করেন। আর তাবুর পাশেই সমুদ্র সৈকতের পাড় ঘেঁষে তাদের নিশান প্যাট্রল মডেলের একটি কার পার্ক করে রাখা হয়। কিন্তু পরদিন সকালে (২৭ এপ্রিল) তারা ঘুম ওঠে দেখতে পান- তাদের গাড়িটির প্রায় অর্ধেকটা পানিতে ডুবে গেছে।
এই অবস্থা দেখে তৎক্ষণাৎ ওই পরিবারটি স্থানীয় সময় সকাল আটটা নাগাদ ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে আহমেদ হিসকল নামের এক দুবাই ভিত্তিক উদ্ধারকারীর শরণাপন্ন হন। যিনি ঘানটুটের পাশেই রেমরামে বসবাস করেন। যতক্ষণে আহমেদ তার রেসকিউ টিমের সদস্য নিজের স্ত্রী নোরা ও দুই সহযোগীকে (আইহাম ও আব্দুল রহমান) নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান, ততক্ষণে দেখেন নিশান প্যাট্রল মডেলের ওই কারটি স্রোতের তোড়ে সৈকতের তীর থেকে প্রায় ৪০ মিটার দূরে পানিতে ভাসছিল।
এসময় রেসকিউ টিম তাদের উদ্ধার কাজ শুরুর আগেই গাড়িটি সৈকতের পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ধীরে ধীরে ডুবে যেতে থাকে। দেখা যায়, অল্প সময়ের মধ্যেই পুরো গাড়িটি পানিতে তলিয়ে পাঁচ মিটার গভীরে বালু চরে ঠেকে গেছে। এই অবস্থায় রেসকিউ টিমটি সাথে নিয়ে যাওয়া সরঞ্জামসহ সকাল ৯টা নাগাদ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তাদের প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার অক্লান্ত চেষ্টার পর গাড়িটি কোনোপ্রকার ক্ষতি ছাড়াই নিরাপদে উদ্ধার করে সৈকতে তোলা সম্ভব হয়।
জানা যায়, উদ্ধার কাজটি সফল হয়েছে- রেসকিউ টিমের সাথে নিয়ে আসা শক্তিশালী দু’টি আরএএম ট্র্যাকের কারণে। ওই দুটি গাড়ির সাথে ডুবন্ত নিশান প্যাট্রল কারটি দড়িতে বেঁধে টেনে পানির নিচ থেকে উপরে তোলা হয়। তবে আশঙ্কা ছিল গাড়িটি সমুদ্র পৃষ্ঠের তলদেশের বালুতে বেশি ডুবে গেলে- হয়তো ভিন্ন কিছুও হতে পারতো।
আর এই পুরো ঘটনাটি ইন্সটাগ্রামের পোস্টে তুলে ধরেছেন আহমেদ হিসকল ও স্ত্রী নোরা। জানা যায়, আহমেদ হিসকল একজন লেবাননের নাগরিক। তিনি ও তার স্ত্রী নোরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের পথে-প্রান্তরে গাড়ি সংক্রান্ত যে কোনো বিরূপ পরিস্থিতিতে উদ্ধার অভিযানের কাজ করে থাকেন- তাদের রয়েছে একটি অভিজ্ঞ রেসকিউ টিমও। সূত্র : খালিজ টাইমস।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক