ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা বাস স্টেশন এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে জামায়াতে ইসলামীর চান্দিনা উপজেলার নায়েবে আমির ও জামায়াত প্রার্থী মাওলানা মোশাররফ হোসেনের বক্তব্য দেওয়ার সময় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও প্রার্থীর হাত থেকে মাইক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দলীয় বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাওলানা মোশাররফ হোসেন বক্তব্য শুরু করলে দলের একটি অংশের নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা অভিযোগ তোলেন, মাওলানা মোশাররফ আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ মহলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এ সময় কয়েকজন কর্মী ‘দল বিক্রি চলবে না’, ‘আওয়ামী দোসর প্রার্থী মানি না’ স্লোগান দিতে থাকেন। মুহূর্তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উভয় পক্ষের কর্মীরা মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দলীয় শৃঙ্খলা কমিটির নেতারা হিমশিম খেয়েছেন। এ ঘটনায় কোনো আহতের খবর পাওয়া যায়নি। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। চান্দিনা উপজেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি সাজিদ আল আমিন সোহাগ বলেন, ‘জেলা আমির আবদুল মতিন ও সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদ টাকা খেয়ে মোশাররফকে প্রার্থী করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল দত্ত ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তপন বকশীর সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের দোসর। জেলা সংগঠন একজন আওয়ামী লীগের দোসরকে জামায়াতের ব্যানারে জায়েজ করাতে চায়।’
জামায়াতে ইসলামীর চান্দিনা উপজেলার নায়েবে আমির ও জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক আপস করিনি। স্থানীয় উন্নয়নমূলক আলোচনায় অংশ নেওয়াকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। কারণ আমি একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান। যে দলই ক্ষমতায় আসুক দাওয়াত দিলে আমাকে সেখানে যেতে হয়। তাছাড়া উন্নয়নমূলক কাজে আমাকে অংশ নিতে হয়েছে।
এ বিষয়ে জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল কেটে দেন। এজন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কুমিল্লা জেলা আমির আবদুল মতিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।