জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৯৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে মাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নাভিদ নাওয়াজ দীপ্ত। এ সময় তার শরীরে ৩৬ বার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। স্কিন গ্রাফটিং (শরীরের একটি অংশ থেকে ত্বক কেটে নিয়ে অন্য ক্ষতিগ্রস্ত অংশে প্রতিস্থাপন) করা হয়েছে আটবার। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। গতকাল তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক ডা. মারুফুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। তিনি আরও বলেন, অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর নাভিদকে ১০ দিন লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। এরপর ২২ দিন ছিল নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ), ৩৫ দিন হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিও) এবং ৪০ দিন ক্যাবিনে চিকিৎসাধীন ছিল নাভিদ। সংবাদ সম্মেলনে বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেন, ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বার্ন ইনস্টিটিউটে ৫৭ জন ভর্তি হয়েছিলেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখন পাঁচজন ভর্তি আছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তাদেরও ছাড়পত্র দেওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়ীতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের হায়দার আলী ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামসহ অন্তত ৩৪ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ২৭ জনই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ছিল।