নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে চার কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শ্রমিকরা। গতকাল সকালে ইপিজেডের মূল ফটকের সামনে ওই কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শ্রমিকরা জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের প্রাপ্য বেতন নিয়মিত পরিশোধ করে না। এ ছাড়া অতিরিক্ত সময় কাজ করালেও এজন্য পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। এসব নিয়ে শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামলে হঠাৎ করে চারটি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারখানাগুলো পুনরায় চালুর দাবিতে সকালে ইপিজেডে সামনের অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে’।
উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চারটি কারখানা বন্ধের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বন্ধ থাকা চারটি কারখানা দ্রুত চালুর চেষ্টা করছি’।
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর থেকে কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে। এরপর ২৬ অক্টোবর উৎপাদন ব্যাহতসহ বিভিন্ন বিশৃঙ্খল কর্মকান্ডের কথা উল্লেখ করে দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড ও মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেডসহ চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।