খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় ভারতের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর করা মন্তব্যকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে নয়াদিল্লি। গতকাল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মন্তব্য নিয়ে নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়া জানতে চান এক সাংবাদিক। তখন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এ কথা বলেন। রণধীর জয়সোয়াল বলেন, আমরা এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং নিয়মিতভাবে সেই দায় অন্যের ওপর চাপানোর প্রবণতা দেখিয়ে আসছে। অন্তর্বর্তী সরকারের আত্মসমালোচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করে জয়সোয়াল বলেন, তাদের জন্য এখন যথোপযুক্ত হবে আত্মসমালোচনার পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে স্থানীয় উগ্রপন্থিদের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ভূমি দখলের ঘটনাগুলো গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফেরার পথে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় বিক্ষোভ-সহিংসতাকে কেন্দ্র করে গত রবিবার খাগড়াছড়িতে গুলিতে তিনজন নিহত হন।প্রসঙ্গত, ওই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার পর ৩০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় মেডিকেল বোর্ড।
ওই প্রতিবেদনে ধর্ষণের পরীক্ষার ১০টি সূচকের সব কটিতে স্বাভাবিক লেখা রয়েছে। এর অর্থ ধর্ষণের কোনো আলামত নেই।
ধর্ষণের আলামত পরীক্ষায় তিন চিকিৎসক দলের নেতৃত্ব দেন খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ জয়া চাকমা।