মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুরে পুলিশের ওপর ডাকাতদের গুলি ও ককটেল হামলার ঘটনায় গতকাল বিকাল পর্যন্ত মামলা হয়নি। সোমবার বিকালের এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটকও করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় জামালপুর অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প-সংলগ্ন মেঘনা নদীতে পুলিশ ও ডাকাত দলের সদস্যদের মধ্যে শতাধিক গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে জামালপুর ও শিমুলিয়া এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকার অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। পুলিশ ক্যাম্পে পুলিশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যে কোনো সময় আবার হামলার ঘটনার আশঙ্কা স্থানীয়দের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা ও শাখা নদীতে অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা, নৌযানে চাঁদাবাজি করে আসছে নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালুবাহিনীর সদস্যরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার জামালপুর গ্রামে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প চালু করা হয়। তবে ক্যাম্প সরিয়ে নিতে গত শনিবার মানববন্ধন করে ডাকাত পক্ষের লোকজন। সোমবার বিকালে পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন মহড়া শুরু করে নৌ-ডাকাত পক্ষ। কিছুক্ষণ পর আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি, ককটেল নিয়ে ক্যাম্পের দিকে ছুটে আসে তারা। ক্যাম্প ও টহলে থাকা পুলিশকে লক্ষ্য করে একের পর এক ককটেল ও গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষায় পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালান। এ সময় ডাকাতদের পক্ষ থেকে প্রায় ১০০ ও পুলিশের পক্ষ থেকে ২০টির মতো গুলি ছোড়া হয়। স্থানীয় কয়েকজন বলেন, পুলিশের ক্যাম্প চালু হওয়ার পর নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনীর কার্যক্রম বাধার মুখে পড়ে। এ জন্য তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে কিংবা হামলা করে পুলিশ ক্যাম্প সরাতে চাচ্ছে।
মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলেন, যারা পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা করেছে, তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। হামলার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। কোনো ডাকাত-সন্ত্রাসীকে পুলিশ ভয় পায় না।