দেশের মানুষ অতীতের মতো হাসিনা মার্কা নির্বাচন চায় না। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে হবে। জুলাই সনদকে সাংবিধানিক ও আইনি ভিত্তি দিতে হবে। নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। গতকাল বিকালে রাজধানীর রামপুরায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের বিক্ষোভ-পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, জুলাই বিপ্লব আমাদের জাতীয় জীবনের বড় অর্জন। তাই রাষ্ট্রীয় যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে পুরোপুরি অনুসরণ করতে হবে। এর অন্যথা হলে বিপ্লবীরা ঘরে বসে তামাশা দেখবে না। তারা এখনো ঘরে ফিরে যাননি। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে প্রয়োজন হলে তারা আবারও রাজপথে নামবে এবং প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আদায় করে ছাড়বে। তিনি নির্বাচনে পিআর পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রচলিত পদ্ধতির নির্বাচনে জনমতের পুরোপুরি প্রতিফলন হয় না। তাই আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতেই হতে হবে। পিআর পদ্ধতি নির্বাচন করার জন্য আরপিও সংশোধন ও গেজেট নোটিফিকেশন জারি করতে নির্বাচন কমিশনকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও মাওলানা ইয়াছিন আরাফাত, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য জিয়াউল হাসান, মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন ও মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দীন প্রমুখ।