মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের ক্ষতি নয়, বরং সহযোগিতা করতে চায়। শুক্রবার চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়ার কয়েক দিন পরই তিনি এমন মন্তব্য করলেন।
রবিবার নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল–এ দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, চীন নিয়ে চিন্তা করবেন না, সব ঠিক হয়ে যাবে।
তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিরল ধাতু রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপকে ‘একটি সাময়িক ভুল’ বলে বর্ণনা করেছেন। ট্রাম্প বলেন, অত্যন্ত সম্মানিত প্রেসিডেন্ট শি কেবল এক খারাপ মুহূর্তের মধ্যে ছিলেন। তিনি তার দেশের জন্য মন্দা চান না, আমিও চাই না।
তিনি আরও লেখেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সাহায্য করতে চায়, ক্ষতি নয়।
ট্রাম্পের আগের হুমকি ও চলতি মাসের শেষে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের ইঙ্গিত দেওয়ার পর ওয়াল স্ট্রিটে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, শেয়ারবাজারে বড় ধরনের পতন হয়।
শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, চীনের ‘অত্যন্ত আগ্রাসী’ বিরল খনিজ রপ্তানিতে নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় আগামী ১ নভেম্বর থেকে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে।
এর জবাবে বেইজিং অভিযোগ করে যে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ‘দ্বৈত নীতির আদর্শ উদাহরণ।’ চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সেপ্টেম্বর থেকে ওয়াশিংটন একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করছে, যা অন্যায়।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিনিয়ত উচ্চ শুল্কের হুমকি দেওয়া চীনের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্কের সঠিক উপায় নয়।
বর্তমানে চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক ৩০ শতাংশ, যা ট্রাম্প প্রশাসন আরোপ করেছিল চীনের তথাকথিত অন্যায্য বাণিজ্যনীতি ও ফেন্টানিল বাণিজ্যে সহায়তার অভিযোগে। এর জবাবে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।
বিশ্বের দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির মধ্যে সাম্প্রতিক আলোচনাগুলোর অন্যতম বড় বাধা হয়ে উঠেছে রেয়ার–আর্থ বা বিরল খনিজ পদার্থ, যা আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য অপরিহার্য।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের নতুন অবস্থান হয়তো বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তাপ কিছুটা কমাতে পারে, তবে উভয় দেশের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী উত্তেজনা এখনো বহাল রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম