গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে মুক্ত ১৫৪ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মিসরে পাঠিয়েছে ইসরায়েল। এই বন্দিরা ‘ফ্রি ফ্লাড–৩’ চুক্তির আওতায় মুক্তি পেয়েছেন, যা গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়ার অংশ।
প্রিজনার্স মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “গাজা যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী মুক্ত ১৫৪ ফিলিস্তিনি বন্দিকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। তাদের গ্রহণ করে মুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে আরব প্রজাতন্ত্র মিসরে পাঠানো হয়েছে।”
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বন্দিরা তাদের মুক্তির চূড়ান্ত ধাপ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত মিসরে অবস্থান করবেন। এর মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ সম্পন্ন হয়েছে।
দুই বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সই হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই যুদ্ধবিরতির আওতায় গাজা থেকে মুক্তি পেয়েছে ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দি, আর ইসরায়েল থেকেও শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্ত করা হচ্ছে ধাপে ধাপে।
চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল-হামাস ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেবে, আর ইসরায়েল মুক্ত করবে বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দি, যাদের অনেকে প্রশাসনিক আটকাদেশে বছরের পর বছর ধরে কারাবন্দি ছিলেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ‘ফ্রি ফ্লাড–৩’ চুক্তির বাস্তবায়ন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন কূটনৈতিক বাস্তবতার ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে মিসর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই মুক্তি শুধু একটি মানবিক পদক্ষেপ নয়, এটি ফিলিস্তিনি বন্দিদের দুর্দশা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সমাজকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, এই বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি ইসরায়েলি জিম্মিদের ঘরে ফেরানোয় একটি বড় সফলতা। সূত্র: আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/একেএ