সম্পূরক বৃত্তি, জকসু নীতিমালা ও সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ফের উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সম্পূরক বৃত্তির সুস্পষ্ট তারিখ ও বিশেষ সিন্ডিকেট ডেকে জকসু নীতিমালা পাস না করলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত ছাত্রনেতারা। ওইদিন প্রশাসনিক ভবনের সব কার্যক্রম বন্ধ রেখে সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা। গতকাল বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শেষে সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আতিকুর রহমান তানজিল বলেন, দুই দিন ধরে দুই দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। প্রশাসনের কেউ খোঁজখবর নেননি। রবিবারের মধ্যে নীতিমালা পাস না করলে আমরা কঠোর আন্দোলন করব।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জবি শাখার আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ রবিবার বিশেষ সিন্ডিকেট ডেকে জকসু নীতিমালা পাস করার দাবি জানান।
জবি শাখা শিবির সেক্রেটারি আবদুল আলিম আরিফ বলেন, দুর্বল প্রশাসনের কারণে আমরা বঞ্চনার শিকার হচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশ চাই, যেখানে ছাত্ররা লেজুড়বৃত্তি রাজনীতি বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক চর্চা করবে। আমরা এক বছরে এ প্রশাসনের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখিনি। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের বিষয়ে সোচ্চার হতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। আপ বাংলাদেশ জবি শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, কবে থেকে সম্পূরক বৃত্তি ও জকসু আইন পাস হবে- তার সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চাই। নতুবা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের হল নেই। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এখনো মেসে থাকে। কয়েক মাস ধরে সম্পূরক বৃত্তির বিষয়ে প্রশাসনকে বলে এলেও তারা কোনো সুস্পষ্ট কিছুই জানায়নি। ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে তারা গড়িমসি করছে।
গতকাল দুপুর ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দুই দফা দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, আপ বাংলাদেশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।