সচিবালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন জুলাই গণ অভ্যুত্থানে শহীদদের স্বজন এবং আহতরা। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের পদত্যাগ দাবি করছেন। গতকাল সকালে তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় একটি মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের ২ নম্বর ফটকের সামনে অবস্থান নেন। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় তারা নানান স্লোগান দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে শহীদদের হত্যাকারীদের জামিনে মুক্তি দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে সংবাদ সম্মেলন করে আইন উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবি করেন। শহীদ স্বজনদের অভিযোগ, হত্যাকাণ্ডের ছবি ও ভিডিও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আসামিরা জামিনে মুক্তি পাচ্ছে কীভাবে? সংবাদ সম্মেলন শেষে শহীদ পরিবারের সদস্যরা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের সামনে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে সেখানেই তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান। পরিবারগুলোর দাবি, বিচার বিভাগ ও সরকারের দায়িত্বশীল ভূমিকাই হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বলেন, ‘আইনের দুর্বলতার কারণেই হত্যাকারীরা সুবিধা পাচ্ছে। আমরা আইন উপদেষ্টা ও বিচারকদের পদত্যাগ চাই।’ তারা জানান, তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা। এদিকে জামিনের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। গতকাল ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, জুলাই হত্যাকান্ডে শহীদ পরিবারের করা একটি মামলায় হাই কোর্ট পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্যকে জামিন দিয়েছেন। জামিন বা হাই কোর্টের অন্য কোনো সিদ্ধান্তের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। হাই কোর্ট উচ্চ আদালত হলেও তার সিদ্ধান্ত প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে উপরোক্ত জামিনাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। কালই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। জামিন বাতিল হলে পুলিশ ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করবে।