ভাঙ্গায় প্রতিবেশীর বসতঘর থেকে বাচ্চু মাতুব্বর (৪৫) নামক এক কলা ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় ভাঙ্গা থানা পুলিশ। নিহত বাচ্চু মাতুব্বর উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের কোষাভাঙ্গা গ্রামের মজিদ মাতুব্বরের ছেলে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্ত্রী ও ভাইয়েরা দাবি করেছেন, বাচ্চু মাতুব্বরকে হত্যা করা হয়েছে।
বাচ্চু মাতুব্বরের স্ত্রী রত্না আক্তার জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নাসিরাবাদ ইউনিয়নের বালিয়াহাটি বাজারে চা খেতে যায় বাচ্চু। সেখানে চায়ের দোকানে বসে টিভিতে খেলা দেখা তার অভ্যাস। রাত ১১টায়ও তিনি বাড়ি ফিরে আসেননি। এরপর তার মোবাইলে ফোন দিয়ে ফোন বন্ধ পাই। বৃহস্পতিবার খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারি প্রতিবেশী সুলতান খানের বসতঘরের ভিতরে বাচ্চু মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি তার স্বামী হত্যার বিচার দাবি করেন।
বাচ্চু মাতুব্বরের বড় ভাই মাসুদ মাতুব্বর (৫০) বলেন, এলাকায় কারও সঙ্গে বাচ্চুর শত্রুতা ছিল না। কী করে সুলতান খানের বসতঘরের ভিতরে সে মারা গেল? তাকে হত্যা করা হয়েছে। ভোরে তার লাশ দেখতে পেয়েও সুলতান খানের বাড়ির কেউ আমাদের জানায়নি। নাসিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেন, সুলতান খান গত তিন বছর ধরে অসুস্থ। বাচ্চুও লোক হিসেবে ভালো ছিলেন। বাচ্চুর লাশ সুলতান খানের বাড়িতে পাওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। লাশের বাম হাতে সামান্য ছিলা জখম আছে। গুরুতর ইনজুরি নেই। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে।