ইকবাল মাহমুদ জাল ডাক্তারি চিকিৎসাপত্র দেখিয়ে নাম ওঠান জুলাই গণ অভ্যুত্থানের আহতদের তালিকায়। ভাগিয়ে নেন জুলাই ফাউন্ডেশনের ১ লাখ টাকার অনুদান। অতঃপর চরম প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। তদন্তে প্রমাণিত হয়, তিনি একজন ভুয়া জুলাই যোদ্ধা। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে।
এরপরও এ ব্যক্তিকে ‘জুলাই সাহসী’ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন ওয়াকিবহালরা। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালে সুনামগঞ্জে সরকারবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ‘সি ক্যাটাগরি’ আহত যোদ্ধার তালিকাভুক্তির বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে লিখিত জবাব ও সরবরাহকৃত ডকুমেন্টস পর্যালোচনায় উল্লিখিত চারজনের (আল-হেলালসহ) ‘সি ক্যাটাগরি’ আহত যোদ্ধা হিসেবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া যথাযথ হয়নি এবং এ-সংক্রান্ত গেজেট হতে তাদের নাম বাতিল করার জন্য সুপারিশ করা হলো।
এদিকে আহত জুলাই যোদ্ধা হিসেবে ভুয়া প্রমাণিত হওয়ার পরও থেমে যাননি সুনামগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম আহ্বায়ক আল হেলাল মো. ইকবাল মাহমুদ। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে এবার ভাগিয়ে নিয়েছেন জুলাইয়ের সাহসী সাংবাদিক সম্মাননা। তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের হাত থেকে ‘সম্মাননা’ গ্রহণ করেন প্রমাণিত ভুয়া জুলাই যোদ্ধা আল হেলাল মো. ইকবাল মাহমুদ। এ বিষয়ে জুলাইয়ে আহত সাংবাদিক শহীদনূর আহমেদ বলেন, জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তদন্তে ভুয়া প্রমাণিত একজন ব্যক্তির হাতে জুলাইয়ের সাহসী সাংবাদিক সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেওয়া সমীচীন হয়নি। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তির ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই করা। ভুল ব্যক্তির হাতে পুরস্কার যাওয়ায় জুলাই নিয়ে ভুল বার্তা যাবে। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।