গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে মোবাইল চোর সন্দেহে মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী জুয়েল তালুকদারকে (৪৩) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার রতনপুর গ্রামের মৃত আবদুল হাই আকন্দের ছেলে রফিকুল ইসলাম রনি (৪২), তার স্ত্রী ছালমা বেগম (৩৭) এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকার মৃত মেহের আলীর ছেলে এস এম রফিকুল ইসলাম (৬০)। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপির) কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন জানান, নিহতের স্ত্রী কোনাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ রবিবার কোনাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল সকালে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার স্থানীয় এক বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। স্থানীয়রা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মোবাইল চুরির ঘটনায় প্রতিবেশী আবদুল হক ও তার মেয়েকে শনাক্ত করে। রবিবার ওই মেয়ে পুনরায় একই বাসায় গেলে বাড়ির লোকজন তাকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে মোবাইল চুরির কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয়রা মেয়েটির বাবা আবদুল হক এবং তার সহযোগী জুয়েল তালুকদারকে আটক করে দুপুরে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই জুয়েল তালুকদার নিহত ও আবদুল হক গুরুতর আহত হয়। আবদুল হককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত জুয়েল তালুকদার (৪৩) নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কেন্দুয়া বাজার এলাকার কছিমুদ্দিন তালুকদারের ছেলে। আহত আবদুল হক (৩৫) একই জেলার মোহনগঞ্জ থানার কেতুলিয়া গ্রামের মো. খালেক মিয়ার ছেলে। তারা দুজনই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ীর পারিজাত (আমতলা) এলাকায় ভাড়াবাসায় থাকতেন। এদের মধ্যে জুয়েল তালুকদার ভ্যান চালিয়ে ও মৌসুমি ফলের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।