ফেসবুকে ফেইক আইডি ব্যবহার করে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে নোয়াখালীর শহিদুল ইসলাম (২৪) নামের এক যুবককে অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থেকে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপহরণের পর ভুক্তভোগীকে মারধর করে তার মোবাইল ফোন, টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং মুক্তিপণ হিসেবে আরও টাকা দাবি করা হয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, রবিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে থেকে শহিদুল ইসলামকে অপহরণ করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। পরে তাকে চন্দ্রগঞ্জের পশ্চিম লতিফপুর এলাকার ধোপাঘাটা স্টিল ব্রিজের পাশে একটি দোকানের পেছনে নিয়ে নির্যাতন চালানো হয়।
ভুক্তভোগী শহিদ নোয়াখালী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের আরিফ মিয়া রাজ বাড়ির মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে। তিনি মাইজদী শহরের একটি ইলেকট্রনিক্স শোরুমে কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার সময় শহিদের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা ও একটি স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরপর চক্রটি আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করে এবং না দিলে হত্যার হুমকি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শহিদকে উদ্ধার করে এবং ওমর ফারুক, রুমান আহমেদ রতন, সিফাত হোসেন ও মো. অনিককে আটক করে।
পুলিশ জানায়, এজাহারভুক্ত আরেক অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হলেও সে কৌশলে পালিয়ে যায়।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০ জনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। দুপুরে আটক চারজনকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফয়জুল আজীম বলেন, 'ঘটনার পরপরই পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের আটক করে। মামলার তদন্ত চলছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।'
বিডি প্রতিদিন/মুসা