নিরপরাধ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে মামলাবাণিজ্য না করাসহ রাষ্ট্রীয়ভাবে দায়মুক্তি দিতে তওবা কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী এ দাবি জানান। তিনি বলেন, যেসব আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর হাতে রক্ত লাগেনি, যারা গণহত্যা ও অন্যান্য অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নয়, তাদের নিয়ে যেন মামলাবাণিজ্য না হয়। তাদের পরিত্রাণের জন্য তওবা কমিশন গঠন করতে হবে। এ ধরনের কমিশন বিদেশে আছে। আত্মস্বীকারোক্তি দিয়ে তাদের পরিত্রাণের সুযোগ করে দিতে হবে। তওবা কমিশন দেশের বিভিন্ন বিভাগ, জেলা, গ্রামে যাবে এবং এসব লোককে রাষ্ট্রীয়ভাবে দায়মুক্তির ব্যবস্থা করে দেবে। জাতি গঠনে এই লোকগুলোকে আমাদের প্রয়োজন উল্লেখ করে তাদের বাদ দেওয়ার পক্ষে আমরা নই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র আরও বলেন, যে আইনে আওয়ামী লীগ জামায়াতকে দল এবং সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করেছিল, সেই একই আইনে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। তবে এ সরকার আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করেনি। অন্তর্বর্তী সরকার যদি মনে করে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করলে তারা পুনরায় ফিরে আসতে পারে, তাহলে গণভোট করে তাদের নিষিদ্ধ করা হোক। সরকার এখন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের কাছে হস্তান্তর করেছে। কিন্তু আদালত যে তাদের নিষিদ্ধ করবে তার নিশ্চয়তা কোথায়? তিনি বলেন, মূলত কথা দাঁড়াল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাই না, বিচার চাই। কিন্তু এখন পর্যন্ত আদালতে নিয়োগ পাওয়া ৮০ শতাংশ বিচারক আওয়ামী লীগের নিয়োগ দেওয়া গোলাম। ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা হলো’- এই কথাটা কলম দিয়ে লেখার মতো কোনো বিচারক বাংলাদেশে নাই। এমনকি আওয়ামী লীগের বড় কোনো নেতার বিরুদ্ধে রায় দেবে এমন বিচারকও নাই। তাহলে কেন লীগ নিষিদ্ধের বিষয়টি আদালতের কাছে দেওয়া হলো? তিনি আরও বলেন, যেসব লীগের নেতা আছে, এদের পুলিশ কীভাবে আটক করবে, যেখানে পুলিশের কনস্টেবল থেকে বিসিএস পুলিশ ক্যাডার পর্যন্ত সব লীগের নিয়োগ দেওয়া!