জনগণের নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট সব পর্যায়ে অর্থাৎ খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার টেবিল পর্যন্ত খাদ্যকে জনগণের জন্য নিরাপদ করতে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশে জাইকার অর্থায়নে পরিচালিত ‘ফুড সেফটি টেস্টিং ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এ দ্রুত প্রকল্প পরিচালক এবং পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
এছাড়া, বৈঠকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জনবল বৃদ্ধি, জাপান ও আসিয়ান দেশগুলোর মতো একক এবং সুবিন্যস্ত খাদ্য ব্যবসা লাইসেন্স ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ১০ বছর মেয়াদি দুই হাজার ৪০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ফুড সেফটি টেস্টিং ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এর আওতায় ঢাকায় একটি ফুড সেফটি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি, চট্টগ্রাম ও খুলনায় দুটি খাদ্য পরীক্ষাগার, প্রশিক্ষণ ভবন নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় সক্ষমতা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের খাদ্য নিরাপত্তা পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
খাদ্য উপদেষ্টা ফুড সেফটি টেস্টিং ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে অর্থায়ন করার জন্য জাইকাকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি এই প্রজেক্টের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জাইকার পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে ‘খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা টাস্ক ফোর্স’ গঠনের জন্য খাদ্য উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
বৈঠকে জাইকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসানসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ