ইসরায়েল থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে নরওয়ে। সম্প্রতি ফিলিস্তিনের দখল করে নেওয়া ভূমি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের জ্বালানি সরবরাহের অবকাঠামোর মালিক এবং তা অপারেট করে বলে ইসরায়েলের পাজ রিটেইল অ্যান্ড এনার্জি’তে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে নরওয়ের সার্বভৌম সম্পদ বিষয়ক তহবিল।
তহবিলের এথিকস ওয়াচডগ বলে পরিচিত কাউন্সিল অন এথিকস ব্যবসার মানদণ্ড বজায় রাখা নিয়ে কঠোরতা অবলম্বন করে গত আগস্টে। এরপর রবিবারের এই অর্থ প্রত্যাহার করে নেওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা এটি। ফিলিস্তিনের দখল করে নেওয়া ভূখণ্ডে ইসরায়েল যেসব অপারেশন চালাচ্ছে তার প্রতিবাদে এভাবে অর্থ বা বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে দেশটি।
প্রথমে তারা গত ডিসেম্বরে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নেয় ইসরায়েলি টেলিযোগাযোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান বেজেক থেকে। ওই তহবিলের বিশ্বজুড়ে নয় হাজার কোম্পানিতে শেয়ার আছে। তার মধ্যে তারা শতকরা ১.৫ ভাগের মালিক। নরওয়ের পার্লামেন্টের নির্দেশনা অনুসরণ করে তারা এই ব্যবসা পরিচালনা করে।
একই সঙ্গে পরিবেশ, সামাজিক ও সুশাসনের ক্ষেত্রে নিজেদেরকে নেতৃস্থানীয় হিসেবে দেখে তারা। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েল থেক যেসব কোম্পানি তাদের সম্পর্ক কর্তন করেছে তার মধ্যে ইউরোপিয়ান এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি অন্যতম।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলে গ্যাস স্টেশন বিষয়ক সবচেয়ে বড় অপারেটর পাজ রিটেইল। দখল করে নেওয়া পশ্চিম তীরে আছে তাদের নয়টি স্টেশন। সর্বশেষ বিনিয়োগ প্রত্যাহারের সুপারিশের বিষয়ে কাউন্সিল অন এথিকস বলেছে, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতিতে জ্বালানি সরবরাহ করে এমন অবকাঠামো পরিচালনায় জড়িত পাজ রিটেইলার। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এসব বসতি স্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া তাদেরকে টিকিয়ে রাখার মধ্য দিয়েও আন্তর্জাতিক আইন অব্যাহতভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
গত বছর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, অবৈধভাবে ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে আছে ইসরায়েল এবং সেখানে তারা বসতি নির্মাণ করেছে। এসব বসতি যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত। তবে আদালতের সেই নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে তেল আবিব। তারা এ রায়কে ভুল এবং পক্ষপাতী বলে অভিযোগ করেছে। সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/একেএ