সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমারজেন্সি ও ক্যাজুয়ালটি বিভাগে চিকিৎসাধীন রোগী ও নার্সদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার রাতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সংঘটিত হামলায় নার্স ও পুলিশসহ চারজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। হাসপাতালের বাইরে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় ইফতারের পর সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়াকে কেন্দ্র করে ওসমানী হাসপাতালের কয়েকজন নার্সের সঙ্গে কতিপয় যুবকের মারামারির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত নার্সরা ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর ওসমানী হাসপাতালে আসেন অপরপক্ষের লোকজন। তারা হাসপাতালের ইমারজেন্সি ও ক্যাজুয়ালটি বিভাগে চিকিৎসাধীন রোগী ও নার্সদের ওপর চড়াও হন। কয়েকজন ব্রাদারকে মারধর করে মহিলা নার্সদের একটি কক্ষে আটকে রাখেন। হাসপাতাল ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এলে তারাও হামলার শিকার হন। হামলায় অন্তত চারজন আহত হয়েছেন।
আহত পুলিশ সদস্য সুভাস দাশ বলেন, ‘হাসপাতালে মারামারি দেখে আমি এগিয়ে গেলে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পাবলিক ভেবে আমাকে মারধর করা হয়। আমি এখন আহত অবস্থায় ওসমানীতে ভর্তি আছি।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় চৌহাট্টা এলাকায় সংঘর্ষের পর আহতরা এসে ভর্তি হন ওসমানীতে। আগের সংঘর্ষের জেরে বহিরাগতরা ক্যাজুয়ালটি বিভাগে হামলা করে। এ সময় নার্স ও ব্রাদাররা প্রতিহত করতে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি জিয়াউল হক বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ তাৎক্ষণিক ওসমানী মেডিকেলের জরুরি বিভাগে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। দুই দফা সংঘর্ষে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।