আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে ৯৬টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিলের পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে ফাইল উপস্থাপন করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, পর্যবেক্ষক নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে কিছু পর্যবেক্ষকের নিবন্ধন বাতিল হবেই। কমিশন চাইলে আগের সব পর্যবেক্ষক বাতিল হবে। গতকাল নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থা ৯৬টি। এদের অনেকের বিরুদ্ধে শর্ত পূরণ না করার অভিযোগ আছে।
দল নিবন্ধন নিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, নিবন্ধনের গণবিজ্ঞপ্তি বর্তমান অবস্থান। হাই কোর্টে রিট হয়েছে। আদালত থেকে রুলের আদেশ এখনো আসেনি। এলে সেটা দেখার পর বলতে পারব। সুনির্দিষ্টভাবে আদেশ না দেখে বলা যাবে না। নিবন্ধন দলগুলো যদি চায়, শর্ত পূরণ হলে কমিশন দেবে।
যদি না চায় তাহলে তো লাগবে না। আগামী সপ্তাহে রায়ের কপি হয়তো পাব, তখন বিস্তারিত বলতে পারব।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা বিদ্যমান নীতিমালা ও সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুসারে এগোচ্ছি। ভোট কেন্দ্র নীতিমালা নিয়েও কথা বলেছি। একটা খসড়া দাঁড় করাতে চাচ্ছি। সীমানা নির্ধারণ নিয়ে এখনো কোনো আপডেট নেই। নির্বাচনে ডিসি-এসপিদের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন বিষয়ে অনেকেই তো বিতর্কিত। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যারা ছিলেন নিঃসন্দেহে বিতর্কিত। ভবিষ্যতে যাতে বিতর্কের সৃষ্টি না হয়, অস্বচ্ছতা যেন না হয়, সেজন্য আমরা সর্বতোভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইনশাআল্লাহ বিতর্কের সৃষ্টি হবে না। তিনি আরও বলেন, যারা বিতর্কিত ছিলেন তাদের বিষয়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, তাদের তো চাকরি চলে গেছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হোক বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হোক, সরকারও নিচ্ছে, কমিশনও নিচ্ছে। ভবিষ্যতে হবে না এমনটাই মনে করি। সুনির্দিষ্ট পদ-পদবির বিষয় না। একটা স্বচ্ছ নির্বাচন এবং নজিরবিহীন সুন্দর নির্বাচনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন নির্বাচন কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।