পবিত্র হজকে কেন্দ্র করে একটি নতুন যুগের সূচনা করছে সৌদি আরব। চলতি হজ মৌসুমে এবার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন দেশটির নারীরা। নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, দিকনির্দেশনা ও স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে হজযাত্রীদের সেবায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
পবিত্র মসজিদে নববীর ভেতর ও আশপাশে নারী নিরাপত্তাকর্মীরা কৌশলগতভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ, চেকপয়েন্ট তত্ত্বাবধান এবং নির্ধারিত প্রার্থনাস্থলে সুষ্ঠুভাবে প্রবেশ নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখছেন। এতে তাদের পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা প্রতিফলিত হচ্ছে।
নারী চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্য সহকারীদের দল হজযাত্রীদের ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা প্রদান করছেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা, জরুরি সেবা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
ধর্মীয় ও পর্যটন দিকনির্দেশনায় শরিয়াহ ও ভাষায় দক্ষ নারী বিশেষজ্ঞরা তাদের সঠিকভাবে গাইড করছেন। এর ফলে তাদের হজ পালন সহজতর হচ্ছে এবং অভিজ্ঞতাও সমৃদ্ধ হচ্ছে।
ভিশন ২০৩০-এর আওতায় সৌদি আরবে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ।
এদিকে চলতি বছর হজ পালন করতে এখন পর্যন্ত সৌদি আরবে পৌঁছেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অন্তত ১৫ লাখ হজযাত্রী। আগামী ৪ জুন শুরু হতে যাওয়া এবারের হজে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সৌদি সরকার। বিশেষত গত বছরের মারাত্মক গরমে অর্থাৎ হিটস্ট্রোক থেকে প্রাণহানির বিষয়টি মাথায় রেখে এবার নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাতে গালফ নিউজ জানিয়েছে, অতিরিক্ত গরম ও হিটস্ট্রোক ঠেকাতে এবার ৪০টিরও বেশি সরকারি সংস্থা এবং দুই লাখ ৫০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন হজ ব্যবস্থাপনায়। এছাড়া হজ-সংশ্লিষ্ট এলাকা যেমন মক্কা, মদিনা, আরাফাতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হয়েছে ৪০০টিরও বেশি কুলিং ইউনিট। তীব্র গরমের সময় যাত্রীরা যাতে কিছু সময় বিশ্রাম নিতে পারেন, সেজন্য বাড়ানো হয়েছে ছায়াযুক্ত এলাকাও, যার পরিমাণ এখন ৫০ হাজার বর্গমিটারেরও বেশি। সূত্র: সৌদি গেজেট, গালফ নিউজ
বিডি প্রতিদিন/একেএ