টানা কয়েক মাস রান্নার তীব্র প্রতিযোগিতা, সাফল্য-ব্যর্থতার গল্প আর নানান নাটকীয়তার পর ‘গ্র্যান্ড ফিনালে’তে চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ‘সেরা রাঁধুনী সিজন ৮’। চূড়ান্ত পর্বে পর পর চারটি চ্যালেঞ্জ- ‘কিংকর্তব্যবিমূঢ়’, ‘সি-ফুড চ্যালেঞ্জ’, ‘রেস্টুরেন্ট চ্যালেঞ্জ’ এবং ‘মেগা কিচেন চ্যালেঞ্জ’-এ তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর বিচারকদের স্কোরে নারায়ণগঞ্জের নিশাত আনজুম হয়েছেন এবারের বিজয়ী। দ্বিতীয় হয়েছেন বগুড়ার তামান্না ইয়াসমিন এবং তৃতীয় হয়েছেন নওগাঁর জুয়াইরিয়া কামাল।
সারা দেশ থেকে হাজারো প্রতিযোগীর রেজিস্ট্রেশনের পর বিভাগীয় অডিশনের মাধ্যমে গ্র্যান্ড অডিশনের জন্য নির্বাচিত হন দেশসেরা ৪৮ প্রতিযোগী। ঢাকায় গ্র্যান্ড অডিশনের পর তাদের মধ্য থেকে সেরা ২০ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে শুরু হয় স্টুডিও রাউন্ডের মূল প্রতিযোগিতা- মহামঞ্চ-এর লড়াই। আগের যে কোনো আসরের চেয়ে সেরা রাঁধুনী সিজন ৮ সাজানো হয়েছিল আরও বড় পরিসরে। তাই এবার প্রতিযোগীদের মুখোমুখি হতে হয়েছে সর্বাধিক সংখ্যক থিমভিত্তিক চ্যালেঞ্জের। তাদের বিচারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন শেফ নাঈম আশরাফ, রন্ধনবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা রীতা, অভিনেত্রী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব দিলারা হানিফ পূর্ণিমা।
সব শেষে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত গ্র্যান্ড ফিনালেতে চূড়ান্ত বিজয়ীর নাম ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরো আয়োজনকে জমকালো করেন হৃদয় খান, ইমরান মাহমুদুল ও কণা। নৃত্য পরিবেশন করেন সাদিয়া ইসলাম মৌ ও তার দল। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মঞ্চ মাতান অভিনয়শিল্পী তাসনিয়া ফারিণ, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরু হয় স্কয়ারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রবাদপ্রতিম স্যামসন এইচ চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার মো. পারভেজ সাইফুল ইসলাম। বিজয়ীদের হাতে ডামি চেক এবং সম্মাননা স্মারক তুলে দেন স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার মো. পারভেজ সাইফুল ইসলাম, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার আবদুল্লাহ আল জাবেদ, হেড অব মার্কেটিং ইমতিয়াজ ফিরোজ এবং তিন বিচারক। অনুষ্ঠানের ইভেন্ট পার্টনার ছিল মিডিয়াকম লিমিটেড, ব্রডকাস্ট পার্টনার মাছরাঙা টেলিভিশন, মিডিয়া পার্টনার দৈনিক কালের কণ্ঠ এবং হসপিটালিটি পার্টনার হিসেবে ছিল রাঙামাটি ওয়াটারফ্রন্ট রিসোর্ট।