যিনি সবাইকে আনন্দ দেন, হাসির ফোয়ারায় ভাসান, তার জীবন কতটা কঠিন হতে পারে, চট করে বুঝে ওঠা যায় না। একবুক যন্ত্রণা নিয়েই কত শত শিল্পীরা পর্দায় দর্শকদের মনোরঞ্জন করে থাকেন। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েন না জনি লিভারও। একবার এক সাক্ষাৎকারে জনি লিভার সেই যন্ত্রণার কথা জানান।
সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা ছাড়তে বাধ্য হন বলিউড অভিনেতা জনি লিভার। বাবা থাকতেন মদে ডুবে। তার পড়াশোনার দিকে কোনো নজর দিতেন না। বড় কাকা দিতেন স্কুল ফি ও রেশন খরচ। তাই দিয়ে কোনোমতে চলছিল। ফলে বিরক্ত হয়েই স্কুল ছাড়েন জনি লিভার।
স্কুল ছাড়ার সিদ্ধান্তে জনির শিক্ষিকা দময়ন্তী ম্যাডাম তাকে স্কুলে ফেরত আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আর স্কুলে ফেরেননি কিশোর জনি। ছোট থেকে লোকজনকে দেখে তাদের হাবভাব নকল করতেন। জীবনের প্রতিকূলতায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে কলম বিক্রি করতেন। বলিউডে পা রাখার পর কমেডি দৃশ্যে অভিনয় করে পরিচিতি পান জনি লিভার।
কিন্তু তার অভিনীত বেশ কিছু কিছু দৃশ্য এডিট করে বাদ দেওয়া হতে শুরু করে একটা সময়। একটা সময় তাকে নিয়ে নায়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন। এখন বলিউডের সিনেমায় কমেছে হাস্যরসের দৃশ্য, তাই আক্ষেপ জন লিভারের। সিনেমার পর্দায় হাসালেও তার জীবন প্রতিকূলতায় ভরা। এমনও হয়েছে বাবার অপারেশনের দিনেও হাসির দৃশ্যে অভিনয় করেছেন জনি লিভার। মন পড়ে থেকেছে বাড়িতে। যদিও শিল্পীদের এই অভিনয়টাই তো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
বিডি প্রতিদিন/কেএ