বৃষ্টিতে প্রায় প্রতিদিন বাড়ছে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। বর্তমানে রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী হ্রদে ১০৪.২২ মিনস সী লেভেল পানি রয়েছে। তাই রাঙামাটি কাপ্তাই কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট সচল আছে। এসব ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ২২০ মেগাওয়াট পর্যন্ত। এটি চলতি বছরের জন্য রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ বলে মনে করছেন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
রাঙামাটি কাপ্তাই কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ১৯৬২ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে সৃষ্টি করা হয় কৃত্রিম বৃহত্তম হ্রদ। যার নাম করা হয় কাপ্তাই হ্রদ হিসেবে। এ হ্রদ থেকে ২৩০ মেগাওয়াট (৩১০,০০০ এইচপি) বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। যা যুক্ত হয় জাতীয় গ্রীডে। এটি বাংলাদেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। কিন্তু দীর্ঘ বছর অতিক্রম আর কালের পরিবর্তনে সময়ের সাথে কমতে থাকে এ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা। কখনো ইউনিট বন্ধ থাকে। আবার কখনো কম থাকে হ্রদে পানি। এসব নানা রকম সমস্যার কারণে বাধাগ্রস্ত হতো বিদ্যুৎ উৎপাদন। কিন্তু চলতি বছর রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ স্বাভাবিক থাকায় আগে থেকে সচল ছিল ৪টি ইউনিট। একটি ইউনিট যান্ত্রীকতার কারণে বন্ধ থাকলেও তাও এখন সচল হয়েছে। অর্থাৎ এখন ৫টি ইউনিটে হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানির পরিমাণ অনুযায়ী এখনো স্পিলওয়ে খুলে দেওয়ার সময় হয়নি। পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানি দ্রুত অতিক্রম করতে পারে বিপদসীমা। বর্তমানে রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী ১০৪.২২ মিনস সী লেভেল। কিন্তু রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে পানি ধারণের ক্ষমতা মাত্র ১০৯ মিনস সী লেভেল (এমএসএল)। এর চেয়ে বেশি পানি হলে খুলে দিতে হবে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেইট অর্থাৎ স্পিলওয়ে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ