ভারতের জাতীয় ফুটবল দলের জন্য প্রধান কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে রীতিমতো হাস্যকর কাণ্ড ঘটে গেছে। প্রাথমিকভাবে দাবি করা হয়েছিল, বার্সেলোনা কিংবদন্তি জাভি হার্নান্দেজ ভারতের কোচ হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন। পরে জানা যায়, সেটি ছিল একটি ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর সাজানো প্রাঙ্ক।
ঘটনার শুরু গত ৪ জুলাই, যখন অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ) ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে, “WE ARE HIRING! Head Coach - Senior Men’s National Team।”
কয়েকদিনের মধ্যেই একটি জাতীয় দৈনিকে ভারতের সাবেক গোলরক্ষক এবং বর্তমান ফুটবল দলের পরিচালক সুব্রত পাল-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, জাভির আবেদন এআইএফএফ পেয়েছে এবং তিনি যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছেন। সুব্রত পাল বলেছিলেন, “হ্যাঁ, জাভির নাম ছিল। ইমেইলে আবেদন এসেছিল।”
সেই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জাভিকে চূড়ান্ত তালিকায় বিবেচনা করা হয়নি কারণ তাঁর আর্থিক চাহিদা অনেক বেশি ছিল।
এরপরই গোটা ফুটবল দুনিয়া বিষয়টিতে নজর দেয়। এই খবরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় মিমের বন্যা।
কিন্তু এরপরই নাটকীয় মোড় নেয় ঘটনা। ভেল্লোরের ভিআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী দাবি করেন, এই পুরো বিষয়টি ছিল তাঁর সাজানো একটি প্রাঙ্ক। তিনি [email protected] নামে একটি ভুয়া ইমেইল আইডি তৈরি করে ChatGPT-কে একটি প্রম্পট দেন।
এই ইমেইল থেকে তিনি ৪ ও ৫ জুলাই দু’বার এআইএফএফকে ইমেইল পাঠান।
শিক্ষার্থী জানান, “আমি কপি-পেস্ট করে পাঠিয়ে দিই, কোনো সিভি দিইনি। তবুও মনে হয় ওরা মেইলটা দেখেছিল।” তিনি এআইএফএফকে পাঠানো সেই ইমেইলের স্ক্রিনশটও সাংবাদিকদের সরবরাহ করেছেন।
এই খবর ছড়িয়ে পড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জাভির ঘনিষ্ঠ মহল থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, তিনি ভারতীয় কোচ হওয়ার আবেদন করেননি। অনেকে তখন ধারণা করেছিলেন, এআইএফএফ জাভির নাম ব্যবহার করে প্রচারণা চালাতে চেয়েছিল।
এরপর এক্স (টুইটার)-এ একজন ব্যবহারকারী ভুয়া ইমেইলের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন।
শনিবার (২৬ জুলাই), এক বিবৃতিতে এআইএফএফ জানায়, “স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্দিওলা ও জাভি হার্নান্দেজের নাম ব্যবহার করে কিছু ইমেইল এসেছিল। আমরা সেগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারিনি এবং এখন নিশ্চিত হওয়া গেছে, সেগুলো ছিল ভুয়া।”
উল্লেখ্য, ফিফা র্যাংকিংয়ে ১৩৩ নম্বরে থাকা ভারতীয় ফুটবল দল ২ জুলাই থেকে কোচবিহীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক