রংপুর মহানগরের সুপার মার্কেটের সামনে দুটি শামুকখোল ও একটি নিশিবকের বাচ্চা বিক্রি করতে এসেছিলেন এক পাখি বিক্রেতা। মহানগর সুজনের (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সভাপতি ফখরুল আনাম বেঞ্জু দেখতে পেয়ে তাঁকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ আসতে দেরি করায় বিক্রেতা পাখি ফেলে পালিয়ে যান। পরে বন বিভাগ পাখি তিনটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বন বিভাগ বলছে, পাখিগুলো সুস্থ হলে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেওয়া হবে। জানা গেছে, এলাকাভেদে শামুকখোল, শামুকভাঙা, শামুকঠোকরা ইত্যাদি নামে পাখিটি পরিচিত। ঠোঁটের নিচের অংশের সঙ্গে ওপরের অংশের বেশ বড় ফাঁক থাকে। কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা ক্রমেই কমছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতি সংরক্ষিত।
নিশিবক সন্ধ্যায় শব্দ করে বাতাসে উড়াল দিয়ে কাজ শুরু করে। কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যাও কমে এসেছে। স্ত্রী ও পুরুষ বক উভয়ে দেখতে একই রকম। পুকুর, ছোট নদী, খাল, বিল, হ্রদ, জলাভূমি ও ধান খেত এদের প্রধান বিচরণস্থল।
পাখি উদ্ধারকারী ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, ‘ব্যাগ হাতে হঠাৎ একজন এসে বলেন-স্যার পাখি কিনবেন? আমি তাঁকে কৌশলে একটি দোকানে নিয়ে গেলাম আর পুলিশে খবর দিলাম। পুলিশ সময়মতো না আসায় পাখি বিক্রেতা কৌশলে পালিয়ে যান। পরে পাখিগুলো বন বিভাগে হস্তান্তর করি।’
রংপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘পাখি তিনটি বন বিভাগের পরিচর্যায় রয়েছে। এখন অনেকটা সুস্থ। ভালোভাবে উড়তে শিখলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’