মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে আব্দুল খালেক মন্ডল (৪৫) নামের এক ভ্যানচালককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা ও শিক্ষার্থীর অভিভাবক। দুপুরের দিকে উপজেলার সন্ধানী স্কুল সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
ভ্যানচালক আব্দুল খালেক মন্ডল গাংনী পৌর এলাকার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মৃত চেতন মন্ডলের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেক মন্ডল দুপুরে সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে নিয়ে বাঁশবাড়িয়া ও গাড়াডোব গ্রামে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বাঁশবাড়িয়া নামক স্থানে একজন ছাত্রী নেমে গেলে অপর ছাত্রীকে একা পেয়ে সে অশ্লীন মন্তব্য করতে থাকে। শিক্ষার্থীটির দাবি, খালেক তাকে উদ্দেশ্য করে বারবার অশ্লীল কথাবার্তা বলছিল।
ঘটনার পর শিক্ষার্থীটি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে তারা তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন নিয়ে অভিযুক্ত ভ্যানচালককে ধরে ফেলে। পরে উত্ত্যক্ত করার দায়ে উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দিয়ে গাংনী সেনা ক্যাম্প হচ্ছে সোপর্দ করে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে থানায় পাঠিয়ে দেয়।
ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় গত ২১ জুলাই একই ভ্যানচালক এই শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে ভ্যানে উঠিয়ে অশ্লীন ভাষা কথা বলে।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাণী ইসরাইল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত ভ্যানচালক আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে মেহেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম