সামরিক জোট ন্যাটো থেকে নিজেদের সেনা সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে অবস্থানরত সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। এর মধ্যে রোমানিয়ার মিহাইল কোগালনিচিয়ানো বিমান ঘাঁটিতে অবস্থানরত সেনারাও রয়েছেন।
গতকাল রোমানিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ওয়াশিংটনের অগ্রাধিকার পরিবর্তনের কারণে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত ছিল। বর্তমানে প্রায় ১ হাজার মার্কিন সেনা রোমানিয়ায় অবস্থান করছেন এবং তারা থাকবেন বলেও জানানো হয়। তবে কতজন সেনা প্রত্যাহার করা হবে, তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত হলো ইউরোপে একটি ব্রিগেডের রোটেশন বন্ধ করা, যার সদস্যরা কয়েকটি ন্যাটো দেশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে অবস্থান করছিল।-রয়টার্স
রোমানিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আয়োনুত মোস্তেনিউ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সংশ্লিষ্ট মার্কিন ব্রিগেডের সদস্যরা রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ায় অবস্থান করছিলেন। ন্যাটো এখন পূর্বাঞ্চলে তাদের উপস্থিতি ও কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে তাদের সামরিক অবস্থান সামঞ্জস্য করতে পারছে। ন্যাটোর এক কর্মকর্তা জানান, জোটটি মার্কিন বাহিনীর মোতায়েনসংক্রান্ত বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী পুনর্বিন্যাস বা স্থানান্তর কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইদো ক্রোসেত্তো স্কাই নিউজকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই মনোযোগ স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলেই শুরু হয়েছিল। তার ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্র এখন চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় মনোযোগ দিচ্ছে, তাই ইউরোপকে নিজের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলীয় দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি কমে যাওয়ার আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সেপ্টেম্বরেই বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পোল্যান্ডে তাদের সেনা উপস্থিতি আরও বাড়াতে পারে। -রয়টার্স