মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগন প্রধান পিট হেগসেথ বলেছেন, জাপান-মার্কিন জোট ‘চীনা সামরিক আগ্রাসন রোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাপানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির মধ্যে প্রথম মুখোমুখি বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেন। বৈঠকে নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাধান্য পায়।
জাপানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা ব্যয় লক্ষ্যমাত্রা ত্বরান্বিত করার পরিকল্পনা নিশ্চিত করেছেন। চীনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় দীর্ঘস্থায়ী শান্তিবাদী জাপান আরও শক্তিশালী সামরিক অবস্থান গ্রহণ করছে। গতকাল হেগসেথ টোকিওতে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমির সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, ‘আঞ্চলিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং জাপানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখতে, আমরা আমাদের জোটকে আরও শক্তিশালী করার জন্য উন্মুখ।’
চীনের সমালোচক তাকাইচি গত সপ্তাহে বলেছেন, তার সরকার এই অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতে মোট দেশজ উৎপাদনের দুই শতাংশ ব্যয়ের লক্ষ্য অর্জন করবে। নির্ধারিত সময়ের দুই বছর আগে এই লক্ষ্য অর্জিত হবে। জাপানে প্রায় ৬০ হাজার মার্কিন সামরিক কর্মী থাকা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় টোকিও আরও বেশি ব্যয় করুক, যা জুনে ন্যাটো সদস্যদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জিডিপির পাঁচ শতাংশের সমকক্ষ হতে পারে। জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কোইজুমি গতকাল লক্ষ্যমাত্রা ত্বরান্বিত করার পরিকল্পনা নিশ্চিত করেছেন। কোইজুমি টোকিওতে হেগসেথকে বলেন, ‘আমরা এই অর্থবছরে মূল পরিকল্পনার আগেই জিডিপির দুই শতাংশের স্তর লক্ষ্য অর্জনের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাপানের আশপাশের অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে-এমন পরিস্থিতির আলোকে আমি বিশ্বাস করি, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ক্ষমতা নিরলসভাবে প্রয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ।’ -এএফপি
মঙ্গলবার টোকিওর কাছে নৌঘাঁটি ইয়োকোসুকায় মোতায়েন করা পারমাণবিক শক্তিচালিত বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বক্তৃতাকালে, তাকাইচি কয়েক শত নাবিকের সমাবেশে তার জাতি নজিরবিহীন নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, তিনি জাপানের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা মৌলিকভাবে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। -এএফপি