সবুজে ঘেরা নিভৃত গ্রাম। চারদিকে তাল, নারকেল, আর কচি কচি মুখে মিষ্টি হাসি। সকালবেলার সূর্যের আলোয় জাতীয় পতাকাটা দুলছে গর্বে। সেই পতাকার নিচে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে একদল স্বপ্নবাজ শিশু—এরা বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের শিক্ষার্থী।
শুধু স্কুল নয়, এ যেন এক পরিবার। যেখানে বইয়ের অক্ষর শেখার পাশাপাশি শেখানো হয় শিষ্টাচার, দেশপ্রেম আর মানবতার পাঠ। গ্রামের পুরোনো একটি ঘরই আজ শিশুদের আলোর পাঠশালা। দেয়ালে ঝুলছে শুভসংঘের ব্যানার, আর শিশুদের চোখে জ্বলে ভবিষ্যতের আশার আলো। বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের মূল লক্ষ্য—প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুদের জন্য বিনা মূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা ও মানসিক বিকাশের সুযোগ তৈরি করা।
স্কুলের শিক্ষিকা মোছা. নীলা আক্তার বলেন, এই এলাকার অনেক শিশুই আগে স্কুলে যেত না। বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল চালু হওয়ার পর তারা এখন নিয়মিত আসে। শুধু পড়াশোনাই নয়, এখানে তারা শিখছে শৃঙ্খলা, পরিশ্রম ও একে অপরকে ভালোবাসার শিক্ষা। প্রতিদিন সকালে জাতীয় সংগীত গেয়ে ক্লাস শুরু করে এই শিশুরা। তাদের চোখের আনন্দটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পুরস্কার।
শিক্ষার্থী সুমাইয়ার মা আছিয়া খাতুন বলেন, আগে আমার মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে ভয় লাগত, দূরে যেতে হতো। এখন গ্রামের ভেতরেই এই সুন্দর স্কুলটা হয়েছে। মেয়েটা এখন নিয়মিত পড়ে, গান শেখে, কবিতা পড়ে। এই স্কুলে বিনা মূল্যে পড়াতে পেরে আমরা গর্বিত।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি