থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা দেশটির রাজতন্ত্রের অবমাননা-সংক্রান্ত আলোচিত মামলায় খালাস পেয়েছেন। গতকাল থাইল্যান্ডের একটি আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, থাকসিনকে দোষী সাব্যস্ত করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। থাকসিন সাংবাদিকদের বলেন, মামলাটি খারিজ হয়ে গেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেওয়ার পরও বিতর্কিত ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে এখনো বেশ প্রভাবশালী ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে রাজতন্ত্র অবমাননা-সংক্রান্ত গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছিল। ২০১৫ সালে স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা অবস্থায় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে এ মামলা হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে তার সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারত। থাই সংবিধানে রাজাকে ‘অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন’ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর রাজতন্ত্রপন্থিদের কাছে প্রাসাদ একটি পবিত্র জায়গা। রাজতন্ত্রপন্থি সেনাবাহিনীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থাকসিনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছিল। ওই সেনারাই ২০০৬ সালে থাকসিন আর ২০১৪ সালে তার বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল।
থাইল্যান্ডে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিতর্কিত আইনের আওতায় হওয়া ২৮০টির বেশি মামলার মধ্যে থাকসিনের মামলাটি সবচেয়ে আলোচিত। অধিকার কর্মীদের মতে, ভিন্নমতাবলম্বীদের চুপ করাতে এবং রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে রক্ষণশীলরা বিতর্কিত এ আইনের অপব্যবহার করে থাকেন।
তবে রাজতন্ত্রপন্থিরা বলেন, রাজা ও রাজপরিবারের সুরক্ষার জন্য এ আইন প্রয়োজন। গত মাসে এক অনুষ্ঠানে মামলাটি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে থাকসিন বলেছিলেন, ‘আমি চিন্তিত নই।’