ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্রে হামলার দাবি করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জুলাইয়ে তাদের বাহিনীগুলো ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা, অস্ত্র নকশা বিভাগ এবং রকেট জ্বালানি উৎপাদন প্রতিষ্ঠানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা করেছে।
গতকাল মন্ত্রণালয়টি জানায়, রাশিয়ার বাহিনীগুলো ইউক্রেনের দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক ও সুমি অঞ্চলের ওই কারখানাগুলো রক্ষার জন্য মোতায়েন করা পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্যাট্রিয়ট ও ফায়ার কন্ট্রোল রাডারও ধ্বংস করেছে। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি বলেছে, ‘রাশিয়া ফেডারেশনের অনেক ভিতরে হামলা চালানোর জন্য পশ্চিমা অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে কিয়েভ শাসকদের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের একটি উদ্যোগ ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে।’ -রয়টার্স
একইদিন রাশিয়ার ভলগোগ্রাদের গভর্নর আন্দ্রে বোচারভ জানিয়েছেন, তার এলাকায় হামলা চালানোর জন্য পাঠানো ইউক্রেনীয় ড্রোনগুলো ধ্বংস করার পর সেগুলোর ধ্বংসাবশেষ আঘাতে একটি তেল পরিশোধনাগারে আগুন ধরে গেছে। টেলিগ্রামে তিনি বলেন, ‘দমকল কর্মীরা আগুন নেভাতে দ্রুত কাজ শুরু করেন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সেখানে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ তেল শোধনাগারটির স্বত্বাধিকারী লুকঅয়েল হামলার ঘটনাটি নিয়ে রয়টার্সের জানানো মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেমগুলো রাতে ৪৪টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে, এগুলোর মধ্যে ৯টি ছিল ভলগোগ্রাদ অঞ্চলে। নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জুলাইয়ে রাশিয়ার এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়া এক ডজনেরও বেশি বিদেশি স্বেচ্ছাসেবক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। ২১ জুলাই ক্রোপিভনিতস্কি শহরের কাছে একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে দুপুরের খাবারের সময় হামলাটি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী এক সেনার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যমটি। সাড়ে তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্য নিয়ে আজ (শুক্রবার) যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম অঙ্গরাজ্য আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এই বৈঠকের আগে ইউক্রেনে হামলা আরও জোরদার করেছে রাশিয়া।-রয়টার্স