মাচার ওপরে সবুজ পাতা। নিচে ঝুলে আছে কালো রঙের তরমুজ। এমন দৃশ্য দিনাজপুরের খানসামা ও চিরিরবন্দর উপজেলার মাঠে মাঠে। এসব জমিতে বর্ষা মৌসুমে হাইব্রিড মার্সেলো জাতের তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন চাষিরা। ৭৩ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ফসল তুলতে পারায় তারা লাভবান হচ্ছেন। কৃষি বিভাগের দাবি, এ পদ্ধতি জনপ্রিয় ও পরিধি বৃদ্ধি হলে স্থানীয় কৃষি অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে।
খানসামার গোয়ালডিহি গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, ২০ শতক জমিতে মার্সেলো গোল্ড তরমুজ চাষ করেন তিনি। খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি হবে বলে প্রত্যাশা তার। কৃষক আবদুল হাকিম জানান, প্রতি বিঘায় গড়ে ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হলেও বিক্রি শেষে ৬০-৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হচ্ছে। প্রতি কেজি তরমুজ খেতেই বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩২ টাকা দরে। রানীরবন্দর বাজারের ব্যবসায়ী রাকিবুল ইসলাম জানান, স্থানীয়ভাবে চাষ হওয়ায় এখন আর বাইরে থেকে তরমুজ আনতে হয় না। বর্তমানে তরমুজ বাজারে ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি করা যাচ্ছে। ফলে ব্যবসায়ীরাও লাভবান হচ্ছেন।
খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, উপজেলায় প্রায় তিন একর জমিতে মাচায় তরমুজ চাষ হয়েছে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ, সার, বীজ ও নগদ সহায়তা দিয়েছে কৃষি অফিস। মাচা তৈরিই ছিল প্রধান খরচ। কৃষকরা লাভবান হওয়ায় এ উদ্যোগ আরও সম্প্রসারিত হবে।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, এবার উপজেলার ভিয়াইল ইউনিয়নের চার কৃষককে দিনাজপুর টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সার, বীজ, ওষুধসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়। ফলন ও দাম ভালো থাকায় কৃষকরা বেশ লাভবান হয়েছেন। এটা স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।