আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসন থেকে বিএনপির চার নেতা মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন। তাঁরা হলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশীদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া, সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম (চায়নিজ রফিক) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ। প্রত্যেকেই নানাভাবে গণসংযোগ ও লবিং-তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্য দলগুলোর মধ্যে এ আসনে জামায়াতে ইসলামী থেকে একক প্রার্থী হয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হয়েছেন মো. মনিরুল ইসলাম। এ ছাড়া আর কোনো দল এখন পর্যন্ত প্রার্থীও দেয়নি, প্রচারও চালাচ্ছে না। বর্তমানে এ আসনে ভোটের মূল প্রচারে রয়েছেন বিএনপির চারজন এবং জামায়াতের একজন। তথ্যানুযায়ী, ১৯৯০ সালে এরশাদের পতনের পর বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হয়ে ওঠে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। টানা কয়েকটি সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজনীতিতে দলটির শিকড় কতটা গভীরে তা প্রমাণ করেছে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল। তবে বর্তমানে বিএনপি কিছুটা সাংগঠনিক সমস্যায় রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা করছে জামায়াত।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আমি পাঁচবারের সাবেক এমপি। যতবার ভোট করেছি ততবারই জয়ী হয়েছি। এমনকি এর আগে আমার কাছে জামায়াতের প্রার্থী নূরুল ইসলাম বুলবুলও পরাজিত হয়েছেন। তাই জামায়াত ধানের শীষের ভোটে প্রভাব ফেলতে পারবে না এবং আমি আবারও জয়ী হব ইনশাল্লাহ।’ অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশী গোলাম জাকারিয়া বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে দায়িত্ব নিয়ে দলকে সংগঠিত করেছি। তাই দল আমাকে মনোনয়ন দিলে জয়ী হতে পারব।’ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দলের জন্য আমার অনেক ত্যাগ রয়েছে। কঠিন সময়ে দলের দায়িত্ব নিয়ে তা পালন করে আসছি। অবদান বিবেচনায় দল নিশ্চয়ই আমাকেই অগ্রাধিকার দেবে।’ আবদুুল ওয়াহেদ বলেন, ‘জনগণ নতুন নেতৃত্ব¡ চায়। জনগণের কাছে আমার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সেই বিবেচনায় দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আশাবাদী।’
জামায়াত প্রার্থী নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘জামায়াত একটি গণতান্ত্রিক দল। জামায়াত মানুষকে নিয়ে কাজ করে। তৃণমূল পর্যন্ত জামায়াতের সংগঠন রয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনে জনগণ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে রায় দেবে বলেই বিশ্বাস করি।’