ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধে গত সোমবার ২০ দফা প্রস্তাব দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর তিনি মঙ্গলবার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে আলটিমেটাম দেন, তিন থেকে চার দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে। তবে হামাসের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে গতকাল জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের জবাব দিতে তাদের আরও সময় লাগবে। তিনি নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘হামাস ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে এখনো পরামর্শ করছে এবং মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে পরামর্শ চলছে, যার জন্য সময় প্রয়োজন।’ ট্রাম্পের প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতি, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মির মুক্তি, হামাসকে নিরস্ত্র এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের ধীরে ধীরে প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে। যুদ্ধবিরতিটি কার্যকর হলে গাজার দায়িত্ব নেবে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন বা সরকার। ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ঘোষণার পর আরব দেশগুলো স্বাগত জানিয়েছিল। -এএফপি
তবে পরবর্তীতে জানা যায়, ট্রাম্প আরব নেতাদের কাছে যে খসড়া প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেটি থেকে অনেক কিছু পরিবর্তন করে সোমবার এটি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন। দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কৌশল করে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে পরিবর্তন এনেছেন। এখন প্রস্তাবটি এমন বিষয়ে দাঁড়িয়েছে যে এটি মানার অর্থ হলো হামাস আত্মসমর্পণ করেছে। কারণ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, তাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে এবং অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। কিন্তু ইসরায়েলি সেনারা তাৎক্ষণিকভাবে গাজা থেকে যাবে না। হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর সদস্য মোহাম্মদ নাজ্জাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ট্রাম্পের প্রস্তাবটি উদ্বেগের বিষয়। আমরা এ নিয়ে আমাদের অবস্থান শিগগিরই জানাব। আমরা মধ্যস্থতাকারী ও আরব দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমরা যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে সিরিয়াস।