অর্থনীতি থেকে শুরু করে ইউক্রেন যুদ্ধ, পারমাণবিক প্রতিরক্ষা ও ইউরোপে ড্রোন আতঙ্ক সব ইস্যুতেই কড়া অবস্থান তুলে ধরেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সরবরাহ বন্ধ হলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়াতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি পরিবর্তন, ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা এবং ন্যাটো ইস্যুতেও মতামত তুলে ধরেছেন।
পুতিন বলেন, ইউরোপ ক্রমাগত সামরিকীকরণের পথে এগোচ্ছে এবং এর জবাবে রাশিয়া ‘গুরুত্বপূর্ণ ও কঠোর’ পদক্ষেপ নেবে। ন্যাটো আক্রমণের নামে রাশিয়াকে নিয়ে যে প্রচারণা চলছে, তা আসলে ‘অর্থহীন হিস্টেরিয়া’। এ ছাড়া সব ন্যাটো দেশই এখন রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সাগরপাড়ের শহর সোচিতে পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক এক ফোরামে পুতিন এসব বলেন। রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, তারা (ন্যাটো) নিজেরাই বিশ্বাস করে না যে রাশিয়া ন্যাটোতে হামলা চালাবে। যদি সত্যিই বিশ্বাস করে, তাহলে তারা অবিশ্বাস্যভাবে অযোগ্য, কারণ এই বাজে কথায় আস্থা রাখা যায় না। আর যদি না বিশ্বাস করে, তাহলে তারা কেবল অসৎ। ইউরোপের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর প্রবণতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, রাশিয়া পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং পাল্টা জবাব দেবে দ্রুতই। পুতিন উদাহরণ টেনে বলেন, জার্মানিতে বলা হচ্ছে তাদের সেনাবাহিনী ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী হবে। খুব ভালো। আমরা সেটা শুনেছি এবং দেখছি এর মানে আসলে কী। রাশিয়া কখনো দুর্বলতা বা দ্বিধা দেখাবে না। যা ঘটছে, আমরা তা উপেক্ষা করতে পারি না। -আল-জাজিরা
২০২২ সালে ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক তলানিতে নেমে গেছে। এর ফলে ইউরোপ তাদের প্রতিরক্ষা জোরদার করছে। ডেনমার্কের আকাশে ড্রোন ও এস্তোনিয়া এবং পোল্যান্ডের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনায় ইউক্রেন যুদ্ধ সীমান্ত পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা আরও বেড়েছে। ইউক্রেন ও কিছু ন্যাটো মিত্র অভিযোগ করেছে, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে অন্য দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে। তবে মস্কো তা অস্বীকার করে বলছে, ইউরোপ কেবল ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। পুতিন অভিযোগ করেন, ইউরোপ ইচ্ছাকৃতভাবে ‘হিস্টেরিয়া’ তৈরি করছে যাতে সামরিক ব্যয় বাড়ানো যায়। তিনি বলেন, শান্ত হোন, রাশিয়া কোনো হুমকি নয়।