শারজায় রুদ্ধশ্বাস দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে শেষ ওভারে এসে ২ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখে জিতে নিয়েছে জাকের আলীর দল। এর আগে, সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
শুক্রবার টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে সেদিকুল্লাহ অটল ২৩ ও ইব্রাহিম জাদরান ৩৮ রান করে আফগানিস্তানকে ভালো সূচনা এনে দেন। উইকেটকিপার-ব্যাটার রহমতুল্লাহ গুরবাজ আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ২২ বলে ৩০ রান করেন। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন আজমাতউল্লাহ ওমরজাই। তবে শরিফুল ইসলামের কাছে উইকেট বিলিয়ে দিতে হয় গুরবাজকে।
মাঝের ওভারে দ্রুত দুই ব্যাটার ফেরেন। ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল (১) ও দারউইশ রাসুলি (১৪) আউট হলে চাপে পড়ে আফগানিস্তান। শেষদিকে মোহাম্মদ নবী ওমরজাইকে সাথে নিয়ে ইনিংস বড় করার পথে হাঁটেন। নবী ১২ বলে ২০ রানে ও ওমরজাই ১৭ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের হয়ে নাসুম আহমেদ ৪ ওভারে ২৫ রানে দুই উইকেট তুলে নেন। রিশাদ হোসেনও ৪৫ রান দিয়ে শিকার করেন দুই উইকেট। এ ছাড়া শরিফুল ইসলাম মাত্র ১৩ রান দিয়ে এক উইকেট নেন।
রান তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মিডঅফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম (৭ বলে ২)। ওমরজাই নিজের পরের ওভারে এসে পারভেজ হোসেন ইমনকে (৫ বলে ২) করেন এলবিডব্লিউ। সাইফ হাসান বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছিলেন। কিন্তু অতি আত্মবিশ্বাসী হতে গিয়ে ভুল করে বসেন।
মুজিব উর রহমানের ঘূর্ণিতে হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন আকাশে। ১৪ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় ১৮ করে আউট হন সাইফ। ২৪ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রশিদ খানের এক ওভারে শামীম পাটোয়ারী একটি করে চার-ছক্কা হাঁকালে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেটে মোটে ৩৭ রান তুলতে পারে টাইগাররা।
চতুর্থ উইকেটে জাকের আলী আর শামীম মিলে ৩৭ বলে ৫৬ রানের জুটিতে বিপদ অনেকটা কাটিয়ে উঠেন। জাকেরকে এলবিডব্লিউ করে এই জুটি ভাঙেন রশিদ খান। জাকের ২৫ বলে ৩২ রানের ইনিংসে হাঁকান দুটি করে চার-ছক্কা।
শামীম দারুণ খেলছিলেন। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দেন তিনি। ২২ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় শামীমের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। এরপর নাসুম আহমেদ ১১ বলে ১০, সাইফউদ্দিন ২ বলে ৪ আর রিশাদ হোসেন ২ বলে ২ করে আউট হয়ে গেলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ১২৭ রানে হারায় ৭ উইকেট।
তবে নুরুল হাসান সোহান একপ্রান্ত ধরে রেখে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। দারুণ সঙ্গ দেন শরিফুল ইসলাম। সোহান ২১ বলে ১ চার আর ৩ ছক্কায় ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৬ বলে অপরাজিত ১১ করেন শরিফুল। তিনিই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করেন। আফগানিস্তানের ওমরজাই ২৩ রানে শিকার করেন ৪টি উইকেট।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ