পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গত জুন মাসের শুরুর দিকে পরিচালিত সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত (এপি) সিং। তিনি দাবি করেছেন, অপারেশন সিঁদুর চলাকালে পাকিস্তানি বাহিনীর অন্তত ছয়টি বিমান ধ্বংস করেছে ভারতের সেনাবাহিনী। শুক্রবার ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বার্ষিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। সেখানে তিনি দাবি করেন, ‘অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি সামরিক কার্গো- পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ছয়টি বিমান আমরা ধ্বংস করেছি। বিমানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে ভূমি থেকে রকেট ফায়ারের মাধ্যমে। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে আমরা ফায়ার করেছিলাম। এটা একটা রেকর্ড। কারণ এর আগে কখনো ভূমি থেকে ফায়ার করে আমরা পাকিস্তানের এতগুলো যুদ্ধবিমান ধ্বংস করিনি।’ বিমানবাহিনীর প্রধান আরও জানান, ছয়টি বিমানই ধ্বংস করা হয়েছে। এই ছয়টি পাকিস্তানি বিমানকেই ধ্বংস করা হয়েছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ ব্যবহার করে।-এনডিটিভি
বস্তুত, এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার তৈরি। এই ছয়টি পাকিস্তানি বিমান ধ্বংসের পাশাপাশি আকাশপথে পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিতে হামলার সময়েও বেশ কিছু পাকিস্তানি বিমানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত। বিশেষ করে পাকিস্তানের জাকোবাবাদে সামরিক ঘাঁটির কথাও উল্লেখ করেন তিনি। সেখানে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের হ্যাঙ্গার ছিল। ওই হ্যাঙ্গারটির অর্ধেকই ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানান বিমানবাহিনী প্রধান। জাকোবাবাদের ওই হ্যাঙ্গার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, যে ওই হ্যাঙ্গারের ভিতরে কিছু বিমান ছিল, যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি পর্যটক। ভয়াবহ এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। কিন্তু দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলে, পাকিস্তানকে হেয় করার জন্য ভারত নিজে এই হামলার পরিকল্পনা সাজিয়েছে। এ নিয়ে নয়াদিল্লি ও ইসলামাদের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মাঝেই ৪ থেকে ৭ জুন পর্যন্ত পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও সিন্ধে অভিযান পরিচালনা করে ভারতের বিমানবাহিনী। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী সেই অভিযানের নাম দেয় অপারেশন সিঁদুর।