সিরিয়ায় বড় বিনিয়োগের ঘোষণা দিল সৌদি আরব। দেশটিতে ৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। দেশটির ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধ পরবর্তী পুনর্গঠন করতেই এত বড় বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। গতকাল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অনুষ্ঠিত এক অর্থনৈতিক সম্মেলনে এ বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রকাশ করেন সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ। এ বিনিয়োগকে সিরিয়ার অন্তর্র্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সরকারের প্রতি সৌদি আরবের দৃঢ় সমর্থনের প্রতীক হিসেবে দেখছে বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ফের গোত্রীয় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে, যার প্রেক্ষাপটে এ বিনিয়োগ শারার প্রশাসনের জন্য বড় সহায়তা। মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ জানান, এ সফরের নির্দেশ দিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এটি প্রমাণ করে যে, ভ্রাতৃপ্রতিম সিরিয়ার পাশে দৃঢ়ভাবে আছে সৌদি আরব। আল-ফালিহ জানান, সম্মেলনের সময় মোট ৪৭টি চুক্তি সই হবে এবং এতে অংশ নিচ্ছে ১০০টিরও বেশি কোম্পানি। এ ছাড়া সম্মেলনে সৌদি-সিরিয়া ব্যবসায়ী পরিষদ গঠনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়। -রয়টার্স ও সৌদি গেজেট
এ সম্মেলনটি মূলত জুন মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে তা স্থগিত রাখা হয়েছিল। বাশার আল-আসাদ সরকার ডিসেম্বরে পতনের পর শারার সরকার ক্ষমতায় আসে। শুরু থেকেই সৌদি আরব এ সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। এরই মধ্যে সিরিয়া কাতারের সঙ্গে ৭ বিলিয়ন ডলারের বিদ্যুৎ চুক্তি ও আরব আমিরাতভিত্তিক ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বন্দর উন্নয়ন চুক্তি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি কোম্পানিগুলোকেও সিরিয়ার জ্বালানি খাত পুনর্গঠনে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে এপ্রিল মাসে সৌদি আরব ও কাতার মিলে সিরিয়ার বিশ্ব ব্যাংকের বকেয়া ঋণ পরিশোধের ঘোষণা দেয়। এর ফলে দেশটি নতুন করে আন্তর্জাতিক ঋণ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। রয়টার্স ও সৌদি গেজেট