গাজায় ত্রাণ নিতে আসা মানুষের ওপর ইসরায়েলি সেনারা হামলা চালিয়ে অন্তত ৩৫ জন অসহায় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। হামলায় ত্রাণ কেন্দ্রও ধ্বংস হয়েছে।
খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলায় ১১ জুন গাজা উপত্যকায় ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের ত্রাণ কেন্দ্রে এসেছিলেন। শিফা এবং আল কুদস হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, পরিত্যক্ত নেতজারিম বসতির কাছে স্থাপিত ত্রাণ কেন্দ্রের দিকে যাওয়ার পথে অন্তত ২৫ জন প্রাণ হারান। হামলায় আহত হয়েছেন কয়েক ডজন মানুষ। গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে পৃথক ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১০ জন মানুষ মারা গেছেন বলেও জানিয়েছে ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তবে এ হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এর আগের দিন রাফায় আরেকটি ত্রাণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে গাজা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন। তাদের অভিযোগের জবাবে ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, তাদের দিকে আগুয়ান সন্দেহভাজনদের সতর্ক করতে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছিল। একই দিন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেন, গাজায় আটক থাকা বাকি জিম্মিদের ছাড়িয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবে চূড়ান্ত চুক্তির বিষয়ে এখনই আশাবাদী না হতেও পরামর্শ দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও গাজায় যুদ্ধবিরতি পুনর্বহালে ইসরায়েল বা হামাস কেউই একচুল পরিমাণ ছাড় দিতে সম্মত নয়। উভয়েই চুক্তি না হওয়ার জন্য অন্য পক্ষকে দায়ী করে আসছে। -রয়টার্স