মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিশ্বের ৪৩টি দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা ভাবছে। তবে এই তালিকার খসড়ায় বাংলাদেশের নাম নেই বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা- এ-সংক্রান্ত একটি খসড়া তালিকা তৈরি করেছেন। চূড়ান্ত প্রস্তাবে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। সূত্র জানায়, ২১ মার্চ অথবা তার দুই-একদিন পর ট্র্যাভেল ব্যান বা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে বিস্তারিত ঘোষণা আসবে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি কাজে লিপ্ত কিংবা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের অভয়ারণ্য হিসেবে চিহ্নিত কিংবা ভয়ংকর অপরাধে জড়িত রাষ্ট্রগুলোর তালিকা তৈরি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেই তালিকার চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বিচার বিভাগ এবং জাতীয় নিরাপত্তা দপ্তর। তার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রে নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় ঢুকতেই পারবে না এমন দেশের খসড়া তালিকায় রয়েছে ১১ দেশ। লাল তালিকাভুক্ত দেশগুলো হচ্ছে- আফগানিস্তান, ভুটান, কিউবা, ইরান, লিবিয়া, নর্থ কোরিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা এবং ইয়েমেন। ভিসা ইস্যুতে কড়াকড়ি আরোপের জন্য ‘অরেঞ্জ’ গ্রুপের দেশগুলো হচ্ছে- বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাউস, মিয়ানমার, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিয়ন, সাউথ সুদান এবং তুর্কমেনিস্তান। ৬০ দিনের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশগুলোর সরকার ‘নিরাপত্তার তথ্য সংক্রান্ত ঘাটতি মেটাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলে’ ‘ইয়েলো’ গ্রুপের দেশগুলো হচ্ছে- এঙ্গোলা, এন্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, বেনিন, বারকিনা ফাসো, ক্যাম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, ক্যাপ ভার্দে, চাদ, রিপাবলিক অব কঙ্গো, ডেমক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ডমিনিকা, লাইবেরিয়া, মালাওই, মালি, মরিশাস, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সাঁও টুমে অ্যান্ড প্রিন্সিপি, ভ্যানুয়াতো এবং জিম্বাবুয়ে। এই তালিকা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ডেস্কে যাওয়ার আগে আরও খতিয়ে দেখা হবে। সে সময়ে হয়তো কোনোটি বাদ যেতে পারে এবং নতুন কোনো দেশের নাম যোগও হতে পারে। সবটাই হবে প্রেসিডেন্টের আন্তর্জাতিক পলিসির আলোকে। জানা গেছে, পাকিস্তান, রাশিয়া, মিয়ানমার, বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাউস, সিয়েরা লিয়ন, সাউথ সুদান এবং তুর্কমেনিস্তানের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার ভিসা পেতে সশরীরে কন্স্যুলেটে গিয়ে ইন্টারভিউ দিতে হবে।
এরই মধ্যেই যারা ভিসা পেয়েছেন কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে আসেননি, তাদের ভিসা বহাল থাকবে নাকি বাতিল বলে গণ্য হবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমনকি গ্রিনকার্ডধারীরা যদি ওইসব দেশে অবস্থান করে থাকেন, তাদের অবস্থা কী হবে সেটিও স্পষ্ট করা হয়নি এখন পর্যন্ত।