সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে গোপনে আলোচনা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। সম্প্রতি ইসরায়েলি ও সিরীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে একাধিক গোপন আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইহুদিবাদী সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২। গত বুধবার সৌদি আরব সফরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল সারার সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই সময় তিনি সারাকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের আহ্বান জানান। পরে তিনি বলেন, সারা এ ব্যাপারে ‘হ্যাঁ’ বলেছেন। চ্যানেল-১২ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েল আর সিরিয়ার মধ্যে এসব গোপন আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে অপর ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, ইসরায়েল-সিরিয়ার মধ্যে মধ্যস্থতা করছে কাতার এবং এটি কয়েক মাস ধরেই চলছে। গত মাসে আহমেদ আল সারা নিশ্চিত করেন দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের নিরাপত্তাবিষয়ক আলোচনা হয়েছে।-টাইমস অব ইসরায়েল
তবে সম্ভাব্য কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি। চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, সম্প্রতি এমন একটি বৈঠক হয়েছে আজারবাইজানে। সেখানে ইসরায়েলের প্রতিনিধিত্ব করেন প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) অপারেশন্স ডিরেক্টরেটের প্রধান মেজর জেনারেল ওদেদ বাসুক। তিনি সিরিয়ার নতুন সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই সময় সেখানে তুরস্কের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। ইসরায়েলি কয়েকটি সূত্রের বরাতে চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল সারা যেহেতু আলকায়দার সিরিয়া শাখার যোদ্ধা ছিলেন তাই ইসরায়েল প্রথমে তার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করতে চায়নি। কিন্তু এখন ইসরায়েল এই অবস্থান পরিবর্তন করেছে। তাদের ধারণা, সারার নেতৃত্বে সিরিয়া ইরানের প্রভাব থেকে বের হয়ে আসবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সখ্য করবে। আর সিরিয়ার সঙ্গে যদি তারা সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে তাহলে তুরস্কের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো হবে।