ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে না পারা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেছেন, “পুতিনের সঙ্গে আমার সম্পর্কের কোনও মানেই ছিল না।”
বহুল আলোচিত আলাস্কা সামিটের এক মাস পর ট্রাম্প এই মন্তব্য করলেন, যেখানে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন সংঘাত সমাধানের জন্য উচ্চস্তরের শান্তি আলোচনায় মিলিত হন। বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয়, প্রথমে রাশিয়া ও ইউক্রেন দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবে, পরে প্রয়োজনে ট্রাম্প, পুতিন ও জেলেনস্কি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। তবে এখনও সেই বৈঠক হয়নি।
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প আরও বলেন, ম্যাক্রোঁ তাকে কয়েকটি যুদ্ধ সমাধানে সাহায্য করেছেন। সাতটি যুদ্ধ সমাপ্ত করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তার ‘সবচেয়ে বড় হতাশা’ হবে।
ট্রাম্প বলেন, আমি ভেবেছিলাম এটি সবচেয়ে সহজ সমাধান হবে, পুতিনের সঙ্গে আমার সম্পর্কের কারণে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সেই সম্পর্কের কোনও মানেই ছিল না।
তিনি আরও বলেন, তিনি সাতটি যুদ্ধ থামিয়েছেন, যেখানে অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছিল। তিনি যুক্তি দেন, এটি এমন কাজ যা কোনও প্রেসিডেন্ট বা রাষ্ট্রনেতা আগে করেননি।
জাতিসংঘকেও ট্রাম্প কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, তারা যুদ্ধ সমাধানে চেষ্টা করেনি। এটি যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনার কাছাকাছি পৌঁছায়নি, সবটাই ফাঁকা বুলি। আর ফাঁকা বুলি কখনও যুদ্ধ থামাতে পারে না।
সম্প্রতি ইউক্রেন নিয়ে মনোভাব পরিবর্তন হয়েছে ট্রাম্পের। জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার পর তিনি ন্যাটো দেশগুলোকে আহ্বান জানান, রাশিয়ার কোনও যুদ্ধবিমান যদি তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে, তা গুলি করে নামাতে হবে। তিনি তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় ইউক্রেন তার হারানো অঞ্চলগুলো ফিরে পেতে পারে ও যুদ্ধে জয়ী হতে পারে। সূত্র: দ্য টাইমস, পলিটিকো, এনডিটিভি
বিডি প্রতিদিন/একেএ