পদত্যাগ করেছেন তুরস্কে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত ও লেবার পার্টির এমপি আফজাল খান।
গত সপ্তাহে তিনি সাইপ্রাসের উত্তারাঞ্চলে সফরে যান। এতে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭৪ সালের আক্রমণের পর তুর্কি সেনারা তুরস্কের উত্তরের তৃতীয়াংশ দখল করে নেওয়ায় ব্রিটিশ সরকার ওই অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেয়নি। ম্যানচেস্টার রুশোলোমের এমপি আফজাল খান তুরস্কের সাইপ্রিয়ট নেতা এরসিন তাতাতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাইপ্রিয়ট সরকার তার ওই পদক্ষেপকে নিন্দনীয় এবং অগ্রহযোগ্য বলে আখ্যা দিয়েছে।
আফজাল খান বলেছেন, ওই সফর তিনি নিজের অর্থ দিয়ে করেছেন। এছাড়া সেখানকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মানজনক ডিগ্রিও অর্জনের পাশাপাশি নিজের ভাতিজার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য যান।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই সময়ে পদত্যাগ করাই ভালো। যাতে করে ব্রিটিশ সরকার সম্ভাব্য যে বাণিজ্য চুক্তির জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে তাতে কোনও বিচ্যুতি না ঘটে।
তিনি আরও বলেছেন, এর আগে ২০ জন ব্রিটিশ এমপি সাইপ্রাসের উত্তরাঞ্চল সফর করেছেন। তবে তারা এত সমালোচনার সম্মুখীন হননি।
যুক্তরাজ্যের ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি মর্টন পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বলেছেন, স্যার কিয়ের স্টারমারের আরও আগেই আফজাল খানকে বরখাস্ত করা উচিত ছিল। যুক্তরাজ্যের জাতীয় সাইপ্রিয়টস ফেডারেশনের সভাপতি ক্রিস্টস ক্যারাওলিস বলেছেন, উত্তর সাইপ্রাসে আফজাল খানের সফরের পর তার অবস্থান অগ্রহণযোগ্য। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ