ইরাক সরকার শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে আল-কাইম সীমান্ত ক্রসিংটি* পুনরায় খুলে দিয়েছে। এটা সিরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক ও যাত্রী চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হবে। ইরাকের সীমান্ত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পণ্যবাহী ট্রাক ও সাধারণ যাত্রীদের জন্য ক্রসিং এখন সম্পূর্ণ সচল।
সীমান্ত কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আল-কাইম ক্রসিং এখন সম্পূর্ণরূপে কার্যকর। এটি খোলার আগে ইরাকি ও সিরীয় কর্মকর্তারা যৌথভাবে নিরাপত্তা মূল্যায়ন করেন।
তিন মাস আগে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসআদ আল-শিবানি বাগদাদ সফরের পর এই অগ্রগতি হলো। ওই সফরে তিনি ইরাক সরকারকে সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু ও বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর এই সীমান্ত ক্রসিংটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
ইরাকের সীমান্ত কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার প্রথম সিরীয় ট্রাকটি সফলভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সীমান্ত অতিক্রম করেছে। একই সঙ্গে আবার চালু হয়েছে যাত্রী চলাচল, যা ইরাকি নাগরিকদের যাতায়াতকে অনেক সহজ করবে।
এই পদক্ষেপকে ইরাক-সিরিয়ার আর্থিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষত, সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ইরাক-সিরিয়া দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে। উভয় দেশই সীমান্ত নিরাপত্তা ও বাণিজ্য সহজীকরণে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
আল-কাইম শহরের মেয়র তুর্কি আল-মাহাল্লাওয়ি বলেন, এই ক্রসিংটি ইরাক-সিরিয়ার মধ্যে পণ্যবাহী বাণিজ্যের জন্য একটি কৌশলগত করিডোর হিসেবে কাজ করবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সীমান্ত পুনরায় চালু হওয়ায় শুধু দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যই নয়, বরং গোটা অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের একটি বড় সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে। একই সঙ্গে এটা প্রমাণ করে যে, সিরিয়া ও ইরাক এখন সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আগ্রহী।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল